“দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ আর্টস এওয়ার্ড ” পেলেন নুরুল ইসলাম বিপিএম

Home Page » সাহিত্য » “দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ আর্টস এওয়ার্ড ” পেলেন নুরুল ইসলাম বিপিএম
বৃহস্পতিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩


 দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ আর্টস এওয়ার্ড ” পেলেন নুরুল ইসলাম বিপিএম

 বঙ্গনিউজঃ  কাব্য সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ICALDRC Linguistics Unit of Dhaka University কবি নুরুল ইসলাম বিপিএম কে  The International Creative Arts Award -2023 (আন্তর্জাতিক সৃজনকলা পুরষ্কার ২০২৩ ) প্রদান করেছে । ২রা ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত Discussion on “Impact of Language & Literature on Enriching Minds and Inspiring Lives & The International Creative Arts Award-2023 Giving Ceremony “. অনুষ্ঠানে এই পদক ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড: মো: আবু নঈম শেখ, কী নোট স্পীকার ছিলেন ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউ,এস,এ এর অধ্যাপক নেছার ইউ আহমেদ( Fulbright scholar, US Public Diplomacy), বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত নাট্যশিল্পী ডলি জহুর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড: একেএম শাহনেওয়াজ এবং The International Creative Arts Language & Development Research Centre ( ICALDRC) এর মহাসচিব অধ্যাপক লুৎফর রহমান জয়।
অনুষ্ঠানেটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড: আসাদুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ICALDRC ভাষাতত্ব ইউনিট বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা, সাহিত্য প্রকাশনা, পরিবেশনা শিল্প, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জীবনঘনিষ্ঠ নন্দনশৈলীকে প্রত্যায়ন করে সৃজনশীলতার এই পদক ও সম্মাননা প্রদান করেছে।

কবি নুরুল ইসলাম ১৯৫৮ সালের ৬ ডিসেম্বর বর্তমান রংপুর বিভাগের অন্তর্গত কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলাধীন খামার নকুলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে অনুষ্ঠিত বিএসসি পরীক্ষায় রংপুর কলেজ থেকে কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্ট অর্জন করে ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে মাটার্স শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থার ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে আউটসাইড ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আইন বিষয়েও ঢাকা সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে ২০০০ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে সারদাহ পুলিশ একাডেমীতে বেসিক প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে অফিসার পদে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত থেকে প্রশিক্ষণকালীন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অতীব সাফল্যের সাথে পালন করায় রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত হয়ে পদক ও আইজিপি ব্যাজ অর্জন করেন। আইন শৃংখলা রক্ষা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জীবন বাজি রেখে দুঃসাহসিকতার সহিত জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখায় ২০১৫ সালে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসাবে মনোনীত হওয়ায় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাঁকে বিপিএম পদক প্রদান করেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের দ্বারা যে বর্বরোচিত মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘঠিত হয়েছিল সেইসব অপরাধের তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ডেপুটি ডাইরেক্টর পদে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তদন্তকাজে নিয়োজিত থেকে সাহসিকতা ও সাফল্যের সাথে অর্পিত দায়ীত্ব পালন করে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ঋণ শোধে বদ্ধপরিকর থেকে অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে হত্যা কাজে রুজুকৃত মামলা, চার জাতীয় নেতা হত্যা মামলা, নাইকো, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা বিডিআর হত্যাকাণ্ড মামলা, মানবতাবিরোধী অপরাধে যুদ্ধ অপরাধ) রুজুকৃত মামলা তদন্তসহ অসংখ্য রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলার সহযোগী তদন্ত কর্মকর্তা/তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর এক অনন্য গর্বিত পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি সাহিত্য অঙ্গনসহ সমাজ সেবা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য মাদার তেরেসা পদক, গান্ধী পদক, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পদক, মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ পদক, মানবাধিকার পদক, কাজী নজরুল ইসলাম পদক বিজয় দিবস পদক, স্বাধীনতা পদক, শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পদকসহ বহু পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি হাইস্কুল জীবন থেকেই উপন্যাস, কবিতা, গান লেখালেখি করেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলিঃ তুমি চন্দ্রিমা, রোদেমেঘে, বাসি হয়না বকুল, আহত জননী, একুশ তুমি শুধুই আমার প্রভৃতি। একজন গীতিকার হিসেবে তিনি তিন শতাধিক দেশাত্ববোধক ও আধুনিক গানের রচয়িতা। ১৯৯৪ সালে খাগড়াছড়ি টাউনহলে শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় তাঁর একক গানের অনুষ্ঠান “মুক্তির চেতনায় করেছি যুদ্ধ” ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
কবি নূরুল ইসলাম তাঁর দার্শনিক দূরদর্শিতার কারণে এযাবৎ অসংখ্য বাণীবদ্ধ করছেন যা মানুষকে মুক্তির পথ দেখায়।

বাংলাদেশ সময়: ৩:৪২:৪৭ ● ৫১৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ