বঙ্গনিউজঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক ফরহাদ খন্দকার (২৭)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সালমানপুরের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেসে যাওয়ার সময় আনসার ক্যাম্পের সামনে নেশাগ্রস্ত এক যুবক তাকে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে এবং গালাগাল করতে থাকেন। তখন শিক্ষার্থী যুবকের কাছে গালাগালের কারণ জানতে চান।
এ সময় ওই যুবক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে ওই ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সেখান থেকে যুবককে ক্যাম্পাসে তুলে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি যখন ক্যাম্পাস থেকে মেসে ফিরছিলাম, তখন রাস্তার মধ্যে এক যুবক আমাকে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের ও আমাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। তখন ভয় পেয়ে আমি স্থানীয় এক মুরব্বিকে আমার মেস পর্যন্ত এগিয়ে দিতে বলি। তখন নেশাগ্রস্ত যুবকটি আমাকে বলেন— এই আপু আমার সঙ্গে কথা বলেন। এর পর একটি লাঠি হাতে আমার দিকে তেড়ে আসতে থাকলে আমি ভয়ে পেয়ে সেখান থেকে চলে আসি। এর পর আমার বিভাগের জুনিয়রদের কল দিয়ে সাহায্য চাই।
মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমার বিভাগের পরামর্শক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে যাব।
এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ভুক্তভোগীর প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অপরাধীকে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছি। ইভটিজিং মামলার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলা করার নিয়ম নেই। তাই আপাতত পুলিশের হেফাজতেই থাকবে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যদি মামলা করে, তখন পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অপরাধীকে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। ভুক্তভোগী যদি মামলা করে আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।