বঙ্গ-নিউজঃ সারেগামাপাখ্যাত গায়ক মইনুল আহসান নোবেল আবারও নতুন বিতর্ক জন্ম দিয়েছেন। কয়েক দিন আগেই সামাজিকমাধ্যমে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। জানান, ফারজান আরশিকে বিয়ে করেছেন।
গায়কের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এলেও তখন এ ব্যাপারে মন্তব্য পাওয়া যায়নি ফারজান আরশির। তবে পরে এ ব্যাপারে ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। যদিও পরে স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেছেন ফারজান আরশি।
ফারজান আরশি স্ট্যাটাসে নোবেলের বিরুদ্ধে তাকে জোর করে মাদক সেবন করানোর অভিযোগ এনেছেন। বলেন, নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে ছবিগুলো তুলেছে, যা এখন ভাইরাল। নোবেলের সঙ্গে কোনো ধরনের বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। এ ব্যাপারে রাজধানীর ডেমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলেও জানান ফারজান আরশি।
বুধবার বিকালে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমি এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই।’
তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অনঅন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোর করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামত ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।’
এরপরই ফারজান আরশি লেখেন, ‘নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সঙ্গে আমার কোনো প্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোন সম্পর্ক ও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।’
সবশেষ তিনি লেখেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি একটি মেয়ে। আমি আমার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।’
এদিকে জিডির ব্যাপারে ঢাকা মহানগর ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ফারজান আরশির বাবা থানায় এসে মৌখিকভাবে আমাদের জানান যে, তার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়েছেন গায়ক নোবেল। কিন্তু তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এর পর ফারজানা আরশি জানান, তার বয়স ২২। তাকে জোর করে তুলে আনেননি নোবেল। স্বেচ্ছায় এসেছেন তিনি। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো পক্ষই আমাদের কাছে লিখিত কিছু জানায়নি।
এর পর ফারজান আরশির ফেসবুকের দীর্ঘ স্ট্যাটাসে নোবেলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সূত্র ধরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।