বঙ্গনিউজঃ ফেসবুকে গায়ক মইনুল আহসান নোবেল তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস আপডেট করেছেন। সেখানে জানিয়েছেন তিনি ফারজান আরশির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার নোবেলের ফের বিয়ের সংবাদের পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তিনি জানিয়েছেন, আরশি নামের ওই তরুণীকে তুলে এনেছেন নোবেল।
সালসাবিল বলেন, আসলে আমি যতটুকু শুনেছি সে বিয়ে করেনি। মেয়েটিকে উঠিয়ে এনে তার কাছে রেখেছে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরাও গিয়ে আরশিকে আনতে পারেনি। তাদের দুজনকে একসঙ্গে নেশা করতেও দেখা গেছে।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে নোবেলের ডিভোর্স এখনো সম্পন্ন হয়নি। আমি ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তখন ডিবি কার্যালয়ে নোবেলকে ডাকা হয়েছিল। সেখানেই সে মুচলেকা দিয়েছিল, নেশা করবে না; অন্য মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবে না। এখন দেখছি তার নতুন কাহিনি। অবশ্য আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেও চাই না।
সালসাবিল বলেন, ওর নোংরামি কমেনি। কিন্তু ওর সঙ্গে আমি সম্পর্ক রাখতে চাই না। এটা থেকে একেবারে বেরিয়ে আসতে চাই।
আরশি খুলনার ফুড ভ্লগার নাদিমের স্ত্রী ছিলেন। তিনিও ভ্লগিংয়ের সঙ্গে জড়িত। চলতি বছরের জুলাইতে নোবেলের টানে নাদিমের ঘর ছাড়েন তিনি।
জানা গেছে, আরশি বাড়ি ও বেড়ে ওঠা খুলনায়। নোবেলের সঙ্গে পরিচয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর পর নড়াইলের অরুণিমা রিসোর্টে কয়েকবার দেখা করেন তারা। পরে খুলনায়ও সাক্ষাৎ হয় তাদের।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ আরশির সাবেক স্বামী নাদিম। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এ নিয়ে খুলনার তরুণদের মধ্যে হচ্ছে সমালোচনা। নেটমাধ্যমে তারা সবাই কথা বলছেন নাদিমের পক্ষে।
সম্ভবত নাদিম আগেই বুঝতে পেরেছিলেন নোবেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক। এর আগে নোবেল যখন অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তখন নাদিম লিখেছিলেন, এর জন্য মানুষ নাকি এখন পাগল হয়! আগে ভালো থাকা ঠিক ছিল, আর এখন! এখন যে নেশাখোর সে-ই একমাত্র এর জন্য পাগল হবে।
আগেও একাধিকবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নোবেল। কিন্তু কোনো সংসারই স্থায়ী হয়নি। সবশেষ ২০১৯ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন সালসাবিল মাহমুদকে। কিন্তু মাদক ত্যাগ না করায় মাস ছয়েক আগে তাকে ডিভোর্স দেন সালসাবিল।