চা-কফি পান করেন না এমন মানুষ পাওয়া বিরল। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষেরই দিন শুরু হয় এক কাপ চা বা কফি পানের মধ্য দিয়ে। শরীর ও মনকে ফুরফুরে করা ছাড়াও চা ও কফির রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। এবার চা-কফি পানের নতুন আরেক উপকারিতার কথা সামনে নিয়ে এলো গবেষণা।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত পরিমাণে চা ও কফি পান মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ বিশেষত ডিমেনশিয়ার (স্মৃতিশক্তি হ্রাস) মতো কঠিন ব্যাধির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মেডিকেল জার্নাল নিউট্রিশন রিভিউতে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কফি এবং চা পান করেন না, তাদের তুলনায় যারা পান করেন তাদের মস্তিষ্কে রোগের সম্ভাবনা কম থাকে। যারা কফি পান করেন তাদের মস্তিষ্কে রোগের সম্ভাবনা প্রায় ২৭ শতাংশ কম থাকে। অন্যদিকে যারা চা পান করেন তাদের মস্তিষ্কে রোগের সম্ভাবনা প্রায় ৩২ শতাংশ কম থাকে।
চায়না মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ৩ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি মানুষের ওপর এই গবেষণা চালায়। এদের মধ্যে ১৮ হাজার ৪৫৯ জনের মধ্যে মস্তিষ্কের রোগ পাওয়া গেছে।
খাওয়ার পরপরই চা পান করলে কী হয়?
গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক অন্তত আড়াই কাপ কফি পান করা মস্তিষ্কের জন্য ভালো। তবে এই পরিমাণের চেয়ে বেশি পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে এই পরিমাণ কফি ডিমেনশিয়া ছাড়া মস্তিষ্কের অন্য কোনো রোগের ওপর প্রভাব ফেলে না। অন্যদিকে দিনে অন্তত এক কাপ চা পান করলে মস্তিষ্কের ব্যাধির কারণে সৃষ্ট মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১১ শতাংশ হ্রাস করে।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কফি শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের ব্যাধির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আর চা এশিয়ানদের জন্য বেশি উপকারী। এ ক্ষেত্রে কফি এবং চা উভয়ের ক্ষেত্রেই নারীদের তুলনায় পুরুষদের জন্য বেশি উপকারী।
নিয়মিত কফি খেলে শরীরে কী হয়?
একাধিক গবেষণার ফল থেকে জানা যায়, ক্যাফেইন মস্তিষ্কের দীর্ঘমেয়াদি রোগ থেকে রক্ষা করে। একই সঙ্গে মস্তিষ্কের সাময়িক কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এ ছাড়াও পরিমিত ক্যাফেইন স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
তবে বলা বাহুল্য, চা এবং কফি পরিমিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পান করালে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।