কখনো কখনো এমন ঘটনা ঘটে, সদ্যজাত কন্যাশিশুর পিরিয়ড বা মাসিকের মতো যোনিপথে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। অপ্রত্যাশিত এ ঘটনায় কেউ প্রস্তুত থাকেন না বলে বেশ ঘাবড়ে যান অভিভাবকেরা।
নবজাতক অবস্থায় কীভাবে মাসিক হয়? নাকি এটা অন্য কিছু? কেন এমন হলো? এই দুশ্চিন্তা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আসলে নবজাতকের জননাঙ্গে এই রক্তক্ষরণের ঘটনা খুব অস্বাভাবিক নয়।
আসুন, জেনে নেওয়া যাক নবজাতকের জননাঙ্গে এই রক্তক্ষরণ আসলে কী বা কেন হয়? মা–বাবা হিসেবে এ সময় আপনার করণীয়ই বা কী?
প্রথম কথা হচ্ছে, নবজাতকের জননাঙ্গে রক্তক্ষরণে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এটি খুবই স্বাভাবিক ও বিজ্ঞানসম্মত একটি ঘটনা। জন্মের পর এক–দুই দিনের মধ্যেই কোনো কোনো কন্যাসন্তানের এমনটি হতে পারে। গর্ভকালে মেয়েশিশু তার মায়ের শরীর থেকে আসা বেশ কিছু হরমোনের সংস্পর্শে আসে।
এসব হরমোন মেয়েশিশুর বেড়ে ওঠার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই হরমোন জন্মের পরপর নবজাতকের শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
এর প্রভাবেই নবজাতকের জননাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়, যাকে অনেকেই নবজাতকের মাসিক মনে করে ঘাবড়ে যান। এই রক্তক্ষরণ খুব বেশি হলে তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয়। মাত্রাও অনেক কম থাকে। এ জন্য কোনো চিকিৎসা লাগে না।
কখন উদ্বিগ্ন হবেন
রক্তক্ষরণ অনেক দিন ধরে হতে থাকলে।
মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে।
জননাঙ্গ থেকে কোনো ধরনের বাজে গন্ধ বের হলে।
রক্তক্ষরণের সঙ্গে জননাঙ্গে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেলে।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে শিশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নবজাতকের সুস্থতা অনেকটাই মা–বাবার হাতে। আর এই সুস্থতার মূলে রয়েছে যথাযথ সচেতনতা ও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা।
তথ্যসূত্র: ডা. শামীমা শারমীন শোভা, সহকারী অধ্যাপক, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথ কেয়ার লি. সেনানিবাস, ঢাকা