বঙ্গনিউজঃ মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় আমিরুল ইসলাম নামে একজন ভ্যানচালকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া ছয় তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে জামগড়া ছয় তলা এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে খোলা থাকা ফ্যাক্টরিগুলোতে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক থেকে পাশের গলির ভেতরে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে।
এ সময় পুলিশের গুলিতে আমিরুল ইসলাম নামে এক ভ্যানচালক (২৪), তাইজুল ইসলাম (২৫) ও শামীম (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ ভ্যানচালককে উদ্ধার করে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাইজুল ও শামীমকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, সকালে শ্রমিকরা সড়কে নামার চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে রাবার বুলেট ছুড়েছে। কিন্তু কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়নি।
ভ্যানচালক আমিরুল জানান, সকালে একটি ট্রিপ নিয়ে জামগড়া আসলে পুলিশ ও শ্রমিকদের মাঝখানে পড়ে যান তিনি। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি।
গুলিতে আহত শামীম জানান, তার মা একজন পোশাক শ্রমিক। শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার কথা শুনে তিনি তার মাকে আনতে যান। এ সময় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন।
শিল্পপুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, সকালে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা হাজিরা দিয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় জড়ো হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে রাস্তা খালি করতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কারখানা যাতে ভাঙচুর করা না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।