বঙ্গনিউজঃ নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। প্রায় এক বছর এ শিক্ষাক্রম চলার পর এবার অ্যাপসের মাধ্যমে এ সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য ও পদ্ধতি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাপসে শিক্ষকদের সামষ্টিক মূল্যায়নের দিকনির্দেশনা দেওয়া থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ–সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপ ব্যবহারের গাইডলাইন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাঠাতে হবে।
মাউশি বলছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোর্ট কার্ড প্রস্তুতের জন্য ‘নৈপুণ্য’ নামে একটি অ্যাপ উন্নয়ন করা হয়েছে। অ্যাপটি আগামী শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে উন্মুক্ত করা হবে। এই নৈপুণ্য অ্যাপটির ওয়েব ভার্সন ব্যবহারসংক্রান্ত একটি গাইডলাইন বা নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৪ থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
এদিকে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ৫ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। ৩০ অক্টোবর মাউশি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে এ প্রসঙ্গে ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে।
মাউশির নির্দেশনাগুলো হলো—
১.
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ কারণে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পূর্বনির্ধারিত ৫ নভেম্বরের পরিবর্তে ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে;
২.
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা পূর্বনির্ধারিত ২৯ অক্টোবরের পরিবর্তে ৫ নভেম্বর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে;
৩.
নির্দেশনা মোতাবেক সব বিষয়ে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনা করতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সামষ্টিক মূল্যায়নের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্দেশনায় পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের নীতিমালা সংযুক্ত থাকবে;
৪.
শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার রিপোর্ট কার্ড প্রদানের সময় অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের অর্জিত পারদর্শিতার পর্যায় সম্পর্কে অবহিত করতে হবে;
৫.
আগামী ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষকেরা প্রশিক্ষণ গ্রহণে ব্যস্ত থাকবেন, তাই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে;
৬.
মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য পুনঃপ্রণয়নকৃত সময়সূচি সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে তা চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)। এবার বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।