বঙ্গ-নিউজ: ফ্রান্সের একটি স্কুলে ছুরি হামলায় একজন শিক্ষক নিহত এবং আরেক শিক্ষকসহ দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর আরাসের গাম্বেটা হাইস্কুলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলাকারী ওই স্কুলের সাবেক ছাত্র এবং চেচেন বংশোদ্ভূত। ছুরিকাঘাতের পর সে ‘আল্লাহ আকবার’ বলে চিৎকার দেয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর বিবিসির।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন ছুরি হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, নিহত ব্যক্তি একজন ফরাসি ভাষার শিক্ষক। আহত হয়েছেন আরেক শিক্ষক ও একজন নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশ জানায়, হামলাকারীর বয়স আনুমানিক ২০। চেচেন বংশোদ্ভূত এই যুবক ওই স্কুলের সাবেক ছাত্র।
শিক্ষকের ওপর ছুরি হামলার মোটিভ তাৎক্ষণিক জানা না গেলেও ফরাসি পুলিশের ধারণা, উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সঙ্গে তার যোগসাজশ থাকতে পারে।
ফরাসি সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর অফিস বলছে, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের যোগসাজশ থাকায় ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
নিউজ চ্যানেল বিএফএমটিভি জানিয়েছে, হামলাকারীর ভাইকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ওই স্কুল পরিদর্শন করার কিছুক্ষণ আগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটলো।
এছাড়া ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটলো যখন, গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ফ্রান্সে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ-মিছিল এবং এ নিয়ে ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা চলছে। তবে পুলিশ বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনার সঙ্গে এই ছুরি হামলার ঘটনার কোনো যোগসূত্র থাকার ইঙ্গিত মেলেনি।
প্রায় তিন বছর আগে প্যারিসের এক স্কুলে স্যামুয়েল প্যাটি নামের এক শিক্ষককে হত্যা ও শিরচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছিল। ওই হামলার অপরাধী ১৮ বছরের আবদুল্লাখ আনজোরভ একজন রাশিয়ান মুসলিম শরণার্থী ছিলেন। তাকে হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফরাসি পুলিশ গুলি করে হত্যা করে।