
বঙ্গ-নিউজঃ ভারতের কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি প্রধান জলবিদ্যুৎ বাঁধের ওপরে বন্যার পানি উপচে পড়ায় বাঁধ ভেঙ্গে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাহাড়ি শহরগুলোতে বরফ-ঠাণ্ডা বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ও সেতু ভেসে গেছে ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ের উঁচুতে একটি হিমবাহ হ্রদ প্লাবিত হয়ে বুধবার মধ্যরাতের পর পরই বন্যা শুরু হয়। ভারতের সিকিম রাজ্যের সবচেয়ে বড় ৬ বছরের পুরনো একটি বাঁধ ভেঙে লাচান উপত্যকার শহরগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতে এক বছরের মধ্যে আঘাত হানা এটাই সর্বসাম্প্রতিক প্রাণঘাতী বন্যা। গত আগস্ট মাসে হিমাচল প্রদেশে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়। জুলাই মাসে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর ভারতে দুই সপ্তাহে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
ভারত সরকারের জলবিদ্যুৎ শক্তি সম্প্রসারণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিস্তা নদীর উপরে বাঁধ নির্মাণ করা হয় তবে তিস্তা-৩ বাঁধ নির্মাণের সময় থেকেই এর নকশা ও স্থাপনা ছিল বিতর্কিত। স্থানীয় সক্রিয়কর্মিরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চরম আবহাওয়া হিমালয়ে বাঁধ নির্মাণ খুব বিপজ্জনক।
শুক্রবার ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা ভারতের ৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ হিমবাহ হ্রদের অধিকাংশে রিয়েল টাইম অ্যালার্টের জন্য আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।