বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের জন্য ভিসানীতি নয়-ম্যাথিউ মিলার

Home Page » জাতীয় » বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের জন্য ভিসানীতি নয়-ম্যাথিউ মিলার
বুধবার ● ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩


মার্কিন  স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার

বঙ্গ-নিউজ: বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপরও ভিসানীতি প্রয়োগ হতে পারে- সম্প্রতি এমন কথা জানিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তবে তার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর ভিসানীতি কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নতুন ভিসা বিধিনিষেধে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তির কথা জানান। এতে বাংলাদেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আপনি কি মনে করেন, সংবাদমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকে খর্ব করবে না?

জবাবে মিলার বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যা বলেছি এবং কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে, সেক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নামও ঘোষণা করিনি। কারণ মার্কিন ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয় তথ্য। তবে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে- আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য এই ভিসানীতি প্রযোজ্য হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরেক সাংবাদিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ইস্যুতে ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করেন। জবাবে মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত মে মাসে নতুন নীতি ঘোষণা করেন। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে কোনো দলের পক্ষ নেওয়া নয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা তাতে সমর্থনই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার যখন আমরা নতুন ভিসা বিধিনিষেধ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছি, তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের কথা উল্লেখ ছিল।

আরেক প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসা জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির জন্য সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। ৭৮ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর। তার মুক্তির বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?

এমন প্রশ্নের জবাবে ‘কোনো মন্তব্য নেই’ বলেও জানিয়ে দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৮:৪১ ● ৩১১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ