বঙ্গ-নিউজ: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ‘অত্যাধুনিক’ আব্রামস ট্যাংকের প্রথম চালান তার সেনাবাহিনী হাতে পেয়েছে। গতকাল তিনি এ কথা জানান। এই ট্যাংক বহরের মাধ্যমে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে চলমান পাল্টা হামলা জোরদার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের কাছ থেকে একটি সুখবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনে আব্রামস ট্যাংক পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যুদ্ধরত সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে সেগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গত বছর রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের উন্নতমানের এসব ট্যাংক সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। শুরুর দিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর পক্ষে এসব ট্যাংক ব্যবহার করা সম্ভব নয়- দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ দাবি ফিরিয়ে দেয়। তবে ইউক্রেন ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের অব্যাহত চাপের মুখে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ওয়াশিংটন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটন কিয়েভকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সম্প্রতি এসব ট্যাংকের সঙ্গে ট্যাংকসহ অন্যান্য সাঁজোয়া যানবিধ্বংসী ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ ১২০ মিলিমিটার গোলাও সরবরাহ করা হবে বলে জানান মার্কিন কর্মকর্তারা। গত ২১ সেপ্টেম্বর জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে শিগগিরই আব্রামস ট্যাংক সরবরাহ করা হবে বলে জানান।
গতকাল ইউক্রেনে এসব ট্যাংক পৌঁছানোর খবরে জেলেনস্কি মিত্রদের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য নতুন চুক্তি করার দাবি করেন।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বিভাগের প্রধান কিরিলো বুদানভ আমেরিকান সামরিক ব্লগ ‘দ্য ওয়ারজোন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আব্রামস ট্যাংকগুলো খুব নির্দিষ্ট, সুনিপুণ অপারেশনের জন্য সতর্কভাবে ব্যবহার করা উচিত। কারণ যদি সেগুলোকে সাধারণ ট্যাংকের মতো সামনের সারিতে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেগুলো খুব বেশি কার্যকরী ফল দিতে পারবে না।