বঙ্গ-নিউজ: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাবে।
ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (নিউ ইয়র্ক সময়) জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের কর্মসূচিটি মোটামোটি নিম্নরূপ-
১৮-২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সভা ও বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
১৮ সেপ্টেম্বর, ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা-খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক সম্মেলনে একটি মূল বক্তব্য দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর, ‘SDG Summit-Leaders’ Dialogue 4 (এসডিজিকে অর্জনের জন্য সমন্বিত নীতি ও পাবলিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা)’ শীর্ষক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন।
২০ সেপ্টেম্বর, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য আন্তর্জাতিক পাবলিক ফাইন্যান্সিং বৃদ্ধি এবং দক্ষতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের (এফএফডি) বিষয়ে একটি উচ্চ-স্তরের বিতর্কে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে একটি উচ্চ-স্তরের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সৃষ্ট হুমকি মোকাবেলা’ শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিটে যোগ দেবেন।
ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের উচ্চ-স্তরের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নৈশভোজ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের উদ্দেশ্য
জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান তুলে ধরা।
বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা।
বাংলাদেশিদের জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের গুরুত্ব
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে।
বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশিদের জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
সূত্র: বাসস