বঙ্গ-নিউজ: দুর্নীতি নির্মূল এবং বিচার বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতে বিচারক, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কাজ করবেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিককে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো। প্রতিটি সেক্টরে কিছুটা হলেও দুর্নীতি আছে। আদালত চত্বরে কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম নেই এমনটাও বলা যাবে না। আমি সংবাদপত্র থেকে জেনেছি যে হাইকোর্টের একটি আদেশ জালিয়াতি করে স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। হাইকোর্ট বেঞ্চের দুই বিচারপতি। একজন আইনজীবীর সহকারী এবং একজন পুলিশ কনস্টেবল জড়িত বলে জানা গেছে এবং তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কোনো দুর্নীতি বা অপকর্মের সঙ্গে আপস করার সুযোগ নেই।
‘সারাদেশের আদালতে মামলার জট কমানো এবং আমার পূর্বসূরীদের কাজ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাই আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমি সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতি, আইনজীবী এবং মিডিয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে মতামত চাইব,’ বলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিকভাবে কাজ করলে এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে মামলার জট কমবে, দুর্নীতি দূর হবে এবং বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা আরও গভীর হবে।
নতুন প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের স্বার্থে এবং বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন উল্লেখ করে বলেন, ‘মিডিয়া হচ্ছে সমাজের আয়না। আমার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলা দরকার।’
একদিন আগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের আরও ধৈর্যশীল হতে হবে। আমি মনে করি না যে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিচারকরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। আমি আমার আইনজীবী বন্ধুদের বলতে চাই যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারা আদালত চত্বরে ধৈর্য ধরুন এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। তাহলে রাজনীতির উত্তাপ বিচার বিভাগকে স্পর্শ করবে না।’
তিনি বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এবং মধ্যস্থতা পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত এবং কিছু আইন হালনাগাদ করা উচিত যাতে আরও মামলা নিষ্পত্তি করা যায় এবং মামলার জট কমানো যায়।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমি বলব না যে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থার অভাব নেই। তবে শুধু বিচারকদের কারণে এটি আসেনি। আরও কিছু কারণ রয়েছে।’