বঙ্গ-নিউজ: ফ্রান্সের স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ‘আবায়া’ নামের পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ২৭ আগস্ট, রোববার ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই পোশাকটি শিক্ষার ক্ষেত্রে ফ্রান্সের কঠোর ধর্মনিরপেক্ষ আইন লঙ্ঘন করছে।
শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল টিএফওয়ান টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী নতুন ক্লাস শুরু হবে। তার আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় পর্যায়ে এই নিয়মের কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবেন তিনি।
অ্যাটাল বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে স্কুলের মাধ্যমে নিজেকে মুক্ত করার স্বাধীনতা। তিনি আবায়াকে একটি ধর্মীয় পোশাক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের পোশাক দেখে যেন ধর্ম শনাক্ত করতে না পারা যায়, সেজন্য আবায়ার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।
ফরাসি স্কুলগুলোতে আবায়া পরা নিয়ে কয়েক মাস ধরে চলা বিতর্কের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে স্কুলগুলোতে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদরা আবায়া নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের ওপর চাপ দিয়েছিল। তবে বামপন্থী রাজনীতিবিদরা জানিয়েছিলেন, এই নিষেধাজ্ঞা নাগরিক স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করবে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে আবায়া পরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ফ্রান্সের মুসলিম সংগঠনগুলো আবায়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের মার্চে ফরাসি স্কুলগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতীক এবং পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে স্কুলগুলোতে খ্রিষ্টানদের বড় ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পা এবং মুসলমানদের হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুমোদন দেওয়া হয় না। অবশ্য এতদিন পর্যন্ত আবায়া সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়নি। তবে আগামি মাস থেকেই এটির ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসতে যাচ্ছে।
সূত্র: এএফপি