এবাদত বিশ্বকাপেও শঙ্কায়

Home Page » ক্রিকেট » এবাদত বিশ্বকাপেও শঙ্কায়
মঙ্গলবার ● ২২ আগস্ট ২০২৩


এবাদত বিশ্বকাপেও শঙ্কায়




বঙ্গ-নিউজঃ          বাংলাদেশের ক্রিকেটে শক্তির জায়গা হয়ে উঠেছে পেস বোলিং ইউনিট। দেশের মাটিতেও লাল বা সাদা বলের খেলায় তিন পেসার নিয়ে ম্যাচ খেলার সাহস দেখায় টিম ম্যানেজমেন্ট। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ দলের বোলিং ইউনিটও সাজানো হয়েছে পেস বোলারের আধিক্য রেখে। এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলে পাঁচজনই পেসার। বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলেও যে পাঁচজন পেসার রাখা হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচক প্যানেল ও টিম ম্যানেজমেন্টকে বেশি পেসার নেওয়ার সাহস জোগাবে ভারতের এশিয়া কাপের স্কোয়াড। গতকাল ঘোষিত ১৭ জনের দলে ছয়জন পেসার রেখেছে তারা। ভারত চাইলে আরও পেসার বা পেস বোলিং অলরাউন্ডার বিকল্প তালিকায় রেখে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পারে।

অথচ বাংলাদেশ তার সেরা পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে এশিয়া কাপেও যেতে পারছে না। হাঁটুর চোটের কারণে এবাদতকে দেশে রেখেই শ্রীলঙ্কা যেতে হচ্ছে। শুধু এশিয়া কাপ নয়, ডানহাতি এ পেসারের বিশ্বকাপ খেলা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই এবাদতের বিকল্প হিসেবে তরুণ তানজিম হাসান সাকিবের কথা ভাবছে জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেল। অভিজ্ঞ খালেদ আহমেদও বিবেচনায় আছেন।

১১ আগস্ট তিনজন বিকল্প রেখে এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করে বিসিবি। ২০ বছর বয়সী পেসার তানজিম হাসান সাকিব, বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও টপঅর্ডার ব্যাটার সাইফ হাসানকে বিকল্প তালিকায় রাখা হয়েছে। সেদিক থেকে এশিয়া কাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে সাকিব এগিয়ে। টেস্ট পেসার খালেদ আহমেদের নামও উঠে এসেছে আলোচনায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় তাঁকে বিকল্প হিসেবে বেশি পছন্দ প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। কারণ বিশ্বকাপ এখনও দূরের পথ। এ ছাড়া টুর্নামেন্টের খেলা চলবে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে। যেখানে পেসারদের ৯টি ম্যাচের জন্য ফিট রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জ।

এ জন্য বিকল্প নিয়ে একটু বেশিই ভাবতে হচ্ছে কোচকে। সেখানে টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে এবাদতের হাঁটুর চোট। নির্বাচক প্যানেলের একজন সদস্য বলেন, ‘এবাদতের ভালোমতো ফিট হতে লম্বা সময় লাগবে। মনে হয় না, বিশ্বকাপে খেলতে পারবে। খালেদ আর তানজিম সাকিবের থেকে একজন যেতে পারেন।’

যদিও গতকাল পর্যন্ত বিসিবির মেডিকেল বিভাগ এবাদতের হাঁটুর এমআরআই রিপোর্ট নিয়ে কিছু জানাতে পারেনি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কাল (আজ) রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হাঁটুতে চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন এবাদত। বল ছাড়ার ঠিক আগে আম্পায়ারের গাজী সোহেলের সঙ্গে হালকা ধাক্কা লাগায় ‘ফ্ল্যাট ফুট ল্যান্ডিং’ করায় হাঁটুতে চোট পান। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে বিসিবি থেকে বলা হয়েছিল চোট গুরুতর নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর লম্বা বিশ্রাম দেওয়া হয় তাঁকে। তবে এশিয়া কাপের ক্যাম্পে প্রথম থেকেই ছিলেন তিনি। টানা অনুশীলনে থাকায় হাঁটুতে সমস্যা অনুভব করেন এবাদত। গত কয়েকদিন ‘নি ক্যাপ’ লাগিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে তাঁকে। ফিজিও ও ট্রেনারের কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়ে নির্বাচকরাও বুঝে গেছেন, বিকল্প পেসার পাঠাতে হবে এশিয়া কাপে, যাকে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা হবে এশিয়া কাপ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে রেখে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:০৭:৩০ ● ৩১০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ