বঙ্গ-নিউজঃ পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে কয়েকটি গির্জায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে লুটপাট চালানোর ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুই খ্রিস্টান ব্যক্তি কোরআনের অসম্মান করেছেন এমন অভিযোগে বুধবার ফয়সালাবাদের জারানওয়ালা এলাকায় গির্জা ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, কোরআন অসম্মানের অভিযোগে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর এ হামলা চালানো হয়। যে দু’জনের বিরুদ্ধে কোরআনকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
খ্রিষ্টধর্মীয় নেতা আকমল ভাট্টি জানিয়েছেন, একদল লোক অন্তত পাঁচটি গির্জায় আগুন দিয়েছেন। আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার পর লুটপাট চালানো হয়েছে। তার অভিযোগ, মসজিদের মাইক থেকে এক ধর্মীয় নেতা সহিংসতায় উসকানি দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, গির্জার ভবন থেকে ধোঁয়া উড়ছে। সেখান থেকে বের করে আনা আসবাবপত্রেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় বেশকিছু লোক পার্শ্ববর্তী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
জারানওয়ালার পাদরি ইমরান ভাট্টি বলেন, ইসা নগরী এলাকার চারটিসহ মোট পাঁচটি গির্জায় তাণ্ডব চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বাড়িও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সহিংস লোকজন।
পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান উসমান আনোয়ার বলেন, বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই এলাকায় সরু গলিতে ছোট ২-৩টি গির্জা রয়েছে। সেখানে একটি প্রধান গির্জাও অবস্থিত। বিক্ষোভকারীরা এসব গির্জার কিছু অংশ ভাঙচুর করেছেন।
তবে খ্রিষ্টধর্মীয় নেতাদের অভিযোগ, ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ।