বঙ্গ-নিউজ: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল- বাংলাদেশে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না? ওয়াশিংটনে এই প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কখনই কথা বলে না।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি এর আগেও অন্য দেশের বিষয়ে এই ধরনের প্রশ্নে যেমনটা বলেছি, তা হলো, নিষেধাজ্ঞা নেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র কখনই কথা বলে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা একটা হাতিয়ার মাত্র। আমরা আরও কিছু হাতিয়ার ব্যবহার করে থাকি। যেমন, সম্পদ জব্দ করা। অপরাধীর বিরুদ্ধে যেন মামলা করতে পারে সে জন্য অংশীদার দেশগুলোকে তথ্য দেওয়া।
মিলার আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের নির্মূলে ন্যায়সংগত ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বাংলাদেশকে উৎসাহিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরেক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
উত্তরে মিলার বলেন, আমরা এই বিষয়টা ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছি। আমরা অনেকবার বলেছি, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের অর্থ পাচার নিয়ে একটি বিষদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সাইফুল আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সহযোগী। তিনি এক বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
মূলত এই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা বাংলাদেশের দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।