অত্যাচারির জম
মোঃ রেজাউল করিম রেজা
কবি তুমি সদা শক্তি,সত্যের রক্ষী, সাহসী সর্বময়,
সত্যের শক্তিতে অটল সদা, অসত্যকে করোনা ভয়,
তুমি সদা জাগ্রত,সদা হুশিয়ার, বিচক্ষনী এক সত্ত্বা
যদি আসে মানবতার কোনো হানা,
চালাও সে তলোয়ার, মানো না যেন কোনো মানা,
থামিবে না এ মিশন,যতদিন অত্যাচারীর দাপট চলে,
চালাও সে মিসাইল তোমার, সাধুদের মুখোশ দাও খোলে,
হুংকারে তোমার,কম্পিত সিংহাসন, প্রাসাদেও উঠে ঝড়,
শৈরাচারের গদি আতংকে পড়ে,অত্যাচারিও কাপে ধরথর।
আধার রাতের যত চোরের দল,আলোতে এসে বুজুর্গি,
উন্মোচন করো,ছিড়ে দাও মুখোশ,আসল চেহারার কুদরতি।
কোথা তুমি হে কবি
ফিরে এসো আরেকবার,
এ সমাজ আজ আধারে পড়িলো ডাকা,থাবা পড়িলো হায়নার।
এসো এসো কলমি বাহুতে,শক্তির মশাল জেলে
কাব্য হাতিয়ারে উঠাও স্লোগান,কন্ঠে আওয়াজ তুলে,
বিদ্রোহের ঝঞ্জা উড়িয়ে নিশান পদাঘাত করো এবার,
অসত্য সে যে চুষিছে সত্য,উঠিছে মিথ্যের জয়জয়কার।
তুমি যুগে যুগে করো বিচরণ,এক নবধুমকেতু এসে,
ধাবড়িয়ে বেড়াও কুলষিত নগরে পাপিষ্ঠের জম বেশে,
সভ্যতা আর সংস্কৃতির বোধ, যে শিকলে আটকে
পড়ে,
ভেঙ্গে ফেলো সেই লৌহ শিকল,দুর্গ তুলো গড়ে,
শাসক আজ শোসকে ফিরেছে,প্রাসাদে জমেছে রঙ্গিলা ভীর,
যোগ্যরা পালাচ্ছে লজ্জার খপ্পরে,জননীর বুকে বিষাক্ত তীর,
ঐ সব বেহায়ার দল,মাখিয়ে গায়ে চুনকালী,
কাকবিদ্যা লয়ে আপন করে, পাপিষ্ঠ স্বত্বার সাথে করে কোলাকুলি।
তবে তুমি কবি নও,
যদি ঐ পাপিষ্ঠের ভয়ে পাজর কাপে,
কবির ভয়ে অত্যাচারি পালায়,সিংহাসন জ্বলে তাপে।
কে করিস তুই কবি দাবি,বলিস নে মানুষের কথা,
তেলবাজি করে প্রচার করো কবি,ঠেকিয়ে চরনে মাথা।
কবি নয় সে, সে বড় খবিস, যে সত্যকে আড়াল করে,
কবি তো সে, যে বুলেটের সম্মুখে সত্যের লড়াই লড়ে।