স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজ:সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে খোলাবাজারে জ্বালানি তেল বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।এই দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাহদীপুর বাজারে লাইসেন্সবিহীন জ্বালানি তেলের অবৈধ ব্যবসা বন্ধে সাহাজুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে সরকার অনুমোদিত লাইসেন্সধারী আরেক ব্যবসায়ী মো: দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে,’ দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাহদীপুর বাজারে সরকার অনুমোদিত লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন মের্সাস আনোয়ার ষ্টোরের ব্যবসায়ী মো: দেলোয়ার হোসেন। গত কয়েক মাস ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশেই পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলার সাহাজুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী সরকারি অনুমোদন ছাড়াই জ্বালানি তেল ও এলপিজির ব্যবসা খোলে বসে। এতে করে সরকারি লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মেসার্স আনোয়ার স্টোরের ব্যবসায়ী দেলোয়ার ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে , উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিভিন্ন দোকানে অনুমোদন ছাড়া জ্বালানি তেল ও এলপিজি বিক্রি করা হচ্ছে। জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য আধাপাকা ঘর, অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিপত্র এবং ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক; কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব লাইসেন্সের তোয়াক্কা না করে শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবসা পরিচালনা করছে।
এই বিষয়ে মাহদীপুর বাজারের অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সাহাজুল ইসলাম বলেন,’ সরকারি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। আপাতত আমার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন,’ অনুমোদ ছাড়া খোলা বাজারে জ্বালানি তেল বিক্রি করা আইনত অপরাধ। জ্বালানি তেল বিক্রি করতে হলে সরকারি অনুমোদন লাগবে। এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।