রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবনের ৪র্থ খন্ড;৩০৯ তম পর্ব-জালাল উদ্দীন মাহমুদ
Home Page »
সাহিত্য »
রঙে ভরা আমার ব্যাংকিং জীবনের ৪র্থ খন্ড;৩০৯ তম পর্ব-জালাল উদ্দীন মাহমুদ
হাজেরা আপার জল চিকিৎসা-৭
আমার মনে নানা চিন্তার উদয় হতে থাকল। কাজেমউদ্দিন স্যারকে শিক্ষা দেয়ার জন্য “জল চিকিৎসা” নামক যে নাটক আজ আমরা মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছি- তার পরিনাম আমরা জানি না। রফিক সাহেবের দক্ষতার উপর বিশ্বাস করে যে সাহসে বুক বেঁধেছিলাম- তা কেন জানি আস্তে আস্তে আলগা হতে শুরু করল। ভাবলাম জল চিকিৎসা নামে কাজেমউদ্দিন স্যারকে অপদস্থ করা উচিৎ হচ্ছে কি? তিনি একজন সিনিয়র মানুষ। সাথে সাথে বিবেক বলে উঠলো তার মত লোককে হাল্কা মাত্রার হলেও একটা শিক্ষা হওয়া উচিৎ।নানা অপকর্মের দ্বারা নিজের সন্মান নিজেই খুইয়েছেন।
আমার ভাবনার জাল ছিন্ন হলো। কাজেমউদ্দিন স্যার আমার সামনে এসে বসলেন। বললেন- হ্যাঁ কি সব অদ্ভুত চিকিৎসার কথা বলছিলে, এবার বলো।
রিহার্সেল ভালোভাবেই দেয়া হয়েছিল। সে রিহার্সেল মোতাবেক আমি শুরু করলাম- স্যার আপনি যেভাবে জানেন, আসলে তা সঠিক না। এ রফিক সাহেব যা-তা কোন মানুষ না। ইনি তালোড়ার বিখ্যাত কবিরাজ রফিক আহম্মেদ চৌধুরী। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইনি যে যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন তাতে তার নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার কথা। কিন্তু পেটের দায়ে ব্যাংকের চাকরিতে যোগদান করায় উনার আবিষ্কৃত থিউরি ও পদ্ধতি প্রচারনা পায়নি। স্যার আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, থিউরি? কিসের থিউরি? আমি বললাম, স্যার একটু ধৈর্য ধরেন, সেসব থিউরির কথাই এখন বলব। ধৈর্য ধরে একটু শোনেন স্যার।
(চলবে )
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৩:১২ ●
২৮৬ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)