বঙ্গ-নিউজ: অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ১২ জন ফিলিস্তিনি এবং একজন ইসরায়েলি সেনা নিহিত হয়েছে। ৩ জুলাই, সোমবার ভোরে এই অভিযান শুরু হয়। ৪ জুলাই, মঙ্গলবারও তা অব্যাহত ছিল।
এটি ছিল পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। এবারের অভিযানে শত শত সৈন্যের পাশাপাশি ড্রোন হামলা এবং সেনাবাহিনীর বুলডোজারগুলোকে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
সোমবার ভোররাতে জেনিন শরণার্থী শিবিরে ড্রোন হামলা দিয়ে এই অভিযান শুরু হয়। এতে এক হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক এই অভিযানে ইতোমধ্যেই ১২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চলাকালীন সময়ে গুলিতে একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে।
৫ জুলাই, বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ছোড়া পাঁচটি রকেট বাধা দেওয়ার পরে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, জেনিন ক্যাম্প থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করা শুরু হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযানকে জেনিনের জনগণের বিরুদ্ধে ‘উন্মুক্ত যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছে। চিকিৎসাবিষয়ক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসও জেনিনের খলিল সুলেমান হাসপাতালের ভিতরে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর নিন্দা করেছে। তারা এটিকে অগ্রহণযোগ্য অপরাধ বলে অভিহিত করেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল কাইলা জেনিন পাবলিক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানোর জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন। জেনিনের ডেপুটি গভর্নর কামাল আবু আল রৌব বলেছেন, হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ছেড়ে পালিয়েছেন।
সূত্র: এএফপি