
বঙ্গ-নিউজ: বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ডলারের বাজারভিত্তিক ও একক মূল্য ব্যবস্থার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে গতকাল সোমবার একদিনে টাকার সবচেয়ে অবমূল্যায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিন ১০৮.৮৫ টাকা দরে বেসরকারি ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি ডলারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২.৮৫ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা এখন আর ডিসকাউন্টে ডলার বিক্রি করব না বা রেটও ঠিক করে দেবো না। এছাড়া আমাদের রেমিটেন্সের যে গতি রয়েছে তা যদি কন্টিনিউ করে তাহলে ধীরে ধীরে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীলতার দিকে যাবে।
গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা চাই ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকুক। সেটা যতই হোক, একটা জায়গায় থাকুক। মোটামুটি একটি রিজনেবল পজিশনে যদি এটাকে কিছুদিন বা দুই এক বছর রাখা যায় তাহলে বাজারে আস্থা চলে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত দরের সঙ্গে মিল রেখে তিনটি ক্ষেত্রে ডলার দর নির্ধারণ করে ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। তাতে রেমিট্যান্সে ডলারের দর দাঁড়ায় ১০৮.৫০ টাকা, রপ্তানিতে ১০৭.৫০ টাকা এবং আমদানিতে ১০৯ টাকা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট অন্য উপায়গুলোর দিকে বেশি নজর দেওয়া দরকার। শুধু বাজারভিত্তিক দর নির্ধারণে ডলারের সংকট কাটবে না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে এক নম্বর হলো এক্সপোর্ট বাড়াতে হবে, দুই নম্বর দেশে ডিরেক্ট ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট আনতে হবে। তিন নম্বরে রেমিটেন্স অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে হবে।