ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের অন্যতম কাঁচা মরিচ উৎপাদনকারী এলাকা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা। শনিবার (১ জুলাই) শৈলকুপা হাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় এক হাজার টাকা দরে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, জন্মের পর থেকে তারা কোনদিন কাঁচামরিচের এত দাম দেখেননি।
শৈলকুপা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইউনুস আলী জানান, তিনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মণ কাঁচামরিচ বিক্রি করেন। শনিবার তিনি ১০ কেজিও মরিচ কিনতে পারেননি। যা পেয়েছেন, তা এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
শনিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে সকালে দাম ছিল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। ঈদের আগে প্রতি কেজির দাম ছিল ৪০০ টাকা। এরপর দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকে। আবার একই দিন ৭ কিলোমিটার দূরে গাড়াগঞ্জ বাজারে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
হাটের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে হাট শুরু হলে চাষিরা পাইকারি প্রতি কেজি বিক্রি করছিল ৭০০ টাকা। এরপর পাইকারি বাজারে দাম বাড়তে থাকে।
৯টার সময় কথা হয় গোবিন্দপুর গ্রামের চাষি আদালাত হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, এবার ১০ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। মরিচ কম ধরছে। ফুল পচে যাচ্ছে। শনিবার ২ কেজি মরিচ হাটে এনেছেন। ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন তিনি।
খুচরা বিক্রেতা মজিবর রহমান প্রতি কেজি এক হাজার টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে। এজন্য খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে গেছে।’
ক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, ‘শনিবার সকালে কাঁচামরিচ কিনতে এসে তো আকাশ থেকে পড়া অবস্থা। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকা। বাধ্য হয়ে শুকনো মরিচ কিনে বাড়ি যাচ্ছি।’
আরেক ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচামরিচের এতো দাম জীবনে দেখিনি । এক হাজার টাকার এক পয়সা কমেও কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। এক কেজি কাঁচামরিচে এখন এক কেজি খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এক হাজার ৭৩৭ হেক্টরে মরিচ চাষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপ পরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, ‘আগে তাপ প্রবাহের কারণে মরিচের উৎপাদন কম হয়। বর্তমানে বৃষ্টির কারণে ফুল ও ফল নষ্ট হচ্ছে। উৎপাদন কম হচ্ছে।’
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক