বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাঙ্গালি লেখকদের লেখা নিয়ে ফারহানা আকতারের কিছু অনুভূতির কথা
উৎসর্গ : হুমায়ূন আহমেদ সহ সকল বাঙ্গালি লেখকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত ৷৷
১৯শে জুলাই বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথা-সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ (যার জীবন নানা ঘটনা-অঘটনায় বৈচিত্রময়, রহস্যময়ও কিছুটা) এর মৃত্যু-বার্ষিকী ৷প্রকৃতপক্ষে, আমি মানুষের জণ্মদিবসটি স্মরণে রাখতে আর মৃত্যুদিবসটি ভুলে যেতেই বেশী পছন্দ করি৷ আমার আজকের লেখাটি বাঙ্গালি লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে হওয়া সত্ত্বেও যেহেতু, এই মাসেই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, কথা-সাহিত্যক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুদিবস ৷ সুতরাং লেখাটি তাঁর স্মৃতিসহ সকল বাঙ্গালি লেখকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত ৷ আমি মনে করি, “বেগম রোকেয়ার -’অবরোধবাসিনী’, সমরেশ মজুমদারের-’সাতকাহন-১ এবং ২ “, সেলিনা হোসেনের “হাঙর নদী গ্রেনেড” , জাহানারা ইমামের “একাত্তরের দিনগুলি” - বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ের পড়া উচিত । নিজেকে পরিপূর্ন ভাবে জানার জন্য ।আসলে, দিন যতই যাছ্ছে, ততই আমরা মানুষের মেধা –মননশীলতা, প্রতিভা ও সৃষ্টিশীলতা কে রাজনৈতিক ও পারিবারিক পরিচয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে আটকে ফেলছি। আমরা ভুলে যাছ্ছি যে, মানুষের মেধা –মননশীলতা, প্রতিভা ও সৃষ্টিশীলতাকে আসলে কখনই কোনো কালে কোনো গণ্ডীর মধ্যে আটকে রাখা কারো পক্ষে সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি৷ “মানুষের মেধা –মননশীলতা, প্রতিভা ও সৃষ্টিশীলতা” হছ্ছে অনেকটা ফেনার মতো , ইহাকে কখনো ধামা-চাপা দিয়ে আটকে রাখা যায়না ৷ ফেনা যেমন বাড়তে থাকে তেমনি ইহার আলো শুধু দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে বাড়তেই থাকে ৷ আমার ছোটবেলা থেকে পড়াশুনার স্টাইল টা ডিভালপ করেছে এইভাবে–খুব ছোটবেলায় পড়েছিলাম –‘রস-দাদুর গল্প ‘ কিংবা ‘কার্টুন’ , অতঃপর গোয়েন্দাকাহিনী ( শার্লক হোমস,দস্যু বনহুর এবং সেবা প্রকাশনীর সব গোয়েন্দা-কাহিনী ) ৷ এরপর যখন আরেকটু বড় হলাম (এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এর কথা বলছি) তখন ‘হুমায়ূন আহমেদ’-এর সব সহজ সহজ গল্পের বইগুলো লাইব্রেরী থেকে এনে পড়তে আরম্ভ করলাম , তখন আমি এস.এস.সি দিয়েছি। তখনও ‘রবীন্দ্রনাথ -বঙ্কিম-নজরুল-শরৎচন্দ্র–বিভূতিভূষন-সুনীল-সমরেশ-শীর্ষেন্দু- -বিভূতিভূষন- সুকান্ত-বেগম রোকেয়া-সুফিয়া কামাল-জাহানারা ইমাম- সেলিনা হোসেন’ - আমার কাছে খুব দুর্বোধ্য ও কঠিন মনে হতো । ওনাদের বইগুলো পড়তাম কিংবা নাড়াচাড়া করতাম ঠিকই কিন্তু কিছুই বুঝতাম না । এস.এস.সি এর পরে স্কুলে আমাদের জন্য যে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে আমাদের সবাইকে উপহার দেয়া হয়েছিল বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের গল্পের বইগুলো ৷ আমাকে দেয়া হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদের ‘এলেবেলে’ বইটি ৷ এইচ.এস.সির পরে অনার্সে এসে একটু একটু করে ৷
রবীন্দ্রনাথ,নজরুল ,সমরেশ,সুকান্ত,সুনীল শীর্ষেন্দু,শরৎচন্দ্র-বিভূতিভূষন- সুনীল-সমরেশ-সুকান্ত-বেগম রোকেয়া-সুফিয়া কামাল-জাহানারা ইমাম- সেলিনা হোসেন’ পড়তে শুরু করলাম বটে , বাট তখনো প্রিয় ছিল সেই হুমায়ূন আহমেদের সহজ সহজ গল্পের বইগুলো। আসলে, শৈশব থেকে কৈশোরে পদার্পনের সময় অর্থাৎ কৈশর ও যৌবনের কিছুটা সময় প্রায় সকলের কাছেই প্রিয় হয়ে ওঠেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কারন সহজ ভাষায় রচিত তাঁর বইগুলো ঐ বয়সে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলে ৷ যখন আমি অনার্সের স্টুডেন্ট-তখন আমার হুমায়ূন আহমেদসহ অন্য সকলের বেশীরভাগ বই পড়া শেষ। আমি ধীরে ধীরে ‘হুমায়ূন আহমেদ’ -কে ভুলে যেতে শুরু করলাম।তখন আমার কাছে এতদিন যাদের বইগুলো দুর্বোধ্য মনে হছ্ছিলো, সেই ওদের বইগুলোই প্রিয় হয়ে উঠলো ! কিন্তু তখনো ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-বঙ্কিম-ঈশ্বরচন্দ্র’ এর লেখাগুলো ধারন করতে পারতাম না।ওনাদের কিছু কিছু লেখা খুব দুর্বোধ্য মনে হতো ! শেষে যখন বিবিএ-অনার্স কমপ্লীট করে এমবিএ তে পড়ছি-তখন আর কোনো বই-ই দুর্বোধ্য মনে হয়নি ! সে সময় আমি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে শুধু অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ, সাংবাদিক আবেদ খাঁন, কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী, বোরহান উদ্দীন খাঁন জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক কায়কোবাদ, মহিউদ্দিন খাঁন আলমগীর -এদের কলামগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে পড়ে ফেলতাম ৷রবীন্দ্রনাথ ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে পুরোপুরি বুঝতে আমার বহু বছর লেগেছিল ! বহু বছর লাগলেও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখন আমার কাছে পৃথিবীর সকল লেখক ও কবিদের মধ্যে সবার চাইতে বেশী প্রিয়! এখন আমি তাঁর যেকোনো রচনা অতি সহজেই বুঝে যাই ৷ তবে এখনো আমার মনে হয়-”আমি এখনো বঙ্কিম-ঈশ্বরচন্দ্রকে অতটা বুঝিনা, যতটা বুঝি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে” ! ‘সুকান্ত ‘ যদিও অতি অল্প বয়সে মারা গিয়েছিল কিন্তু তাঁর লেখাগুলো এত বেশী - উঁচুমানের যে অনেকেই প্রথম পাঠে সহজে বুঝে উঠতে পারে না, আবার পড়তে হয় । অন্য দিকে ‘ নির্মলেন্দু গুন’ এত বয়সেও এত সহজ ভাষায় লিখেন যে-একবার পড়লেই বুঝে যাই। আমি বোধ হয়-সবচাইতে বেশী পড়েছি–”মহাদেব সাহা”-র কবিতা । কবিদের মধ্যে কবি- হেলাল হাফিজ,নির্মলেন্দু গুন,মহাদেব সাহা, জীবনানন্দ, জসিম উদ্দীন, পুর্নেন্দু পত্রী, শামসুর রাহমান, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুললাহ-কে আমার সহজ মনে হয়। আবার কখনও কখনও ‘শামসুর রাহমান’ এর কবিতাগুলো মাঝে মাঝে ‘মহাদেব সাহা’ কিংবা ‘ নির্মলেন্দু গুন’ এর মতো সহজ মনে হয়না। তবে একটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করে দেখেছি -”শরৎ চন্দ্র ,রবীন্দ্রনাথ,শীর্ষেন্দু,হুমায়ূন” এরা নারীর ঘরে থাকার জীবনকাহিনী , নারীর প্রেম, নারীর ভালোবাসা, নারীর অসহায়ত্বকে নিয়ে বেশী লিখেছেন আর অপরদিকে “সমরেশ,সুনীল ও ইমদাদুল হক ,বেগম রোকেয়া , সেলিনা হোসেন , নাসরিন জাহান”- এরা নারীকে শুধুমাত্র ঘরে বন্দী করে না রেখে অর্থাৎ নারীকে শুধুমাত্র প্রেম-ভালোবাসার প্রতিমা বা উপমার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং পরিবারে- সমাজে-রাষ্ট্রে নারীর প্রতিষ্ঠা, সাহসিকতা ও শক্তিকে প্রখরভাবে তাদের রচনাবলীতে তুলে ধরেছেন । ‘মাইকেল মধুসূদন, জসীমউদ্দিন ‘ কে আমি কম পড়েছি, যদিও এরা বাংলার পল্লী ও পল্লীর প্রকৃতি নিয়ে বেশী লিখেছেন । ‘হুমায়ূন আজাদ ও তসলিমা নাসরীন’ এর প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে বলছি , হুমায়ূন আজাদ ও তসলিমা নাসরীনের কিছু কিছু কথা , লেখা ও ভাবনা আমার ভালো লাগলেও পরবর্তীতে আমি এ দুজনের লেখা এই কারনে পরিত্যাগ করেছি যে, একসময় আমার মনে হয়েছে-”এরা দুজন তাদের লেখনীর পরিমিত মাত্রা ও স্রষ্টাকে বিশ্বাসবোধ এর জায়গা থেকে সরে গিয়ে লিখছেন , লেখক হলেই যে যা খুশী তা লেখা যায় না-এসব নিয়ম মানছেন না , সীমা অতিক্রম করছেন” ৷ ঠিক তখনই এদের লেখা পড়া থেকে নিজেকে আমি বিরত রেখেছি। যদিও তারা লিখছেন তাদের নিজস্ব বোধের জায়গা থেকে ৷তবে আমি এটুকু বুঝতে পেরেছি, তাদের বোধের জায়গা আর আমার বোধের জায়গা ভিন্ন ৷ হতে পারে “বাংলাদেশে যেটা অশ্লীল অন্য দেশে হয়তবা সেটা অশ্লীল নয় “। কিনতু একজন বাংলাদেশের নাগরিক ও বাঙালি হিসেবে আমাকে তো বাংলাদেশের মানুষের রুচি-পছন্দের কথা বিবেচনা করে লিখতে হবে ।একজন শিক্ষক ও লেখক হিসেবে আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি, “ লেখালেখি করি বলে তো যা ইছ্ছা তা লিখতে পারি না” । আমি আমার ‘লেখালেখি’ এর ক্ষেত্রেও একটি অলিখিত নিয়ম মেনে চলি । সবকিছুতেই আমি নিজের অজান্তেই একটা অলিখিত পরিমিতি বোধ মনে চলি । এটা আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয়নি । আমার মনে হয় –‘আমার এই গুনটি জন্মগত ,অর্জিত এবং সহজাত’ । কোনো বন্ধু্ ,পাঠক, সহকর্মী, স্টুডেন্ট কিংবা অন্য যে কারো সঙ্গে’ যখন আমার এই লেখালেখি ও সাহিত্য জগৎ নিয়ে যখন গল্প হয় , তখন তারা বেশীরভাগ সময়ে আমাকে বলে বসেন –“আপনি তো নিজের সঙ্গে নিজে প্রতারনা করছেন কারন আপনি জীবনের সব অধ্যায়গুলো নিয়ে লিখছেন না্ বাট অন্যরা সেটি লিখলে বা বাস্তবজীবনে প্রাকটিস করলে আপনি তার সমালোচনা করছেন “। আসলে, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন-যাপন প্রনালী কেমন হবে, তা নিয়ে আমার কোনো লেখা বা সমালোচনা নেই ৷ এখানে আমার বক্তব্য আবারো সেই একই কথায় ফিরে আসবে । দ্যাট মিনস্ – “আমি আমার লেখালেখি তেও একটি অলিখিত নিয়ম মেনে চলি “। আমার মনে হয়, “যেকোনো ভালো লেখকই তাই করে থাকেন” ৷ আজ প্রায় ষোল বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত থাকা সত্ত্বেও আমি যে কখন নিজের অজান্তেই একজন লেখক হয়ে উঠেছি,ঠিক বুঝতে পারিনি ৷এ পর্যন্ত আমার লেখালেখির ঝুড়িতে জমা হয়েছে বেশ কয়েকটি বই, প্রবন্ধ, কলাম,ছোট গল্প, কবিতা ইত্যাদি ইত্যাদি৷ এইতো কিছুদিন আগে ( ৮ই মার্চ’২০২৩, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে) আমার রচিত একটি বই-“Where There Is Devil There Is Also The God (বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় অনুবাদকৃত)”-এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ‘গুণীজন সম্মামনা অনুষ্ঠান’ এ আমাকে সম্মামনা প্রদান করা হলো যা আমার লেখালেখির জগতে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে দিয়েছে এবং যা আমার লেখালেখির জগতে অনেক বড় একটি অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে ৷ কোথাও গেলে হঠাৎ অপরিচিত একজন বলে ওঠে, “আপনি তো ঐ বইয়ের লেখক, আপনার ঐ বইটি আমি পড়েছি”৷ তখন একটা মুচকী হাসি দিয়ে সেখান থেকে নিজেকে আলাদা করে সরে আসি৷ আজ থেকে বহু বছর পূর্বে যখন আমি শুধুই পাঠক ছিলাম, তখন এমনটি ঘটতো না ৷ আমি বিশ্বাস করি -”বেশীরভাগক্ষেত্রেই পাঠকরা লেখক-লেখিকা ও তাদের লেখা কে , স্টুডেন্টরা শিক্ষককে, দর্শকরা একটি মুভি বা নাটকের হিরো -হিরোইন কে , দেশের নাগরিকগন দেশের বরেন্য মহৎ ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতাদের কে অনুসরণ বা অনুকরন করতে কিংবা তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু গ্রহন করে নিজেদের জীবনে ইমপ্লীমেন্ট করতে পছন্দ করেন কিংবা সেসবকিছু না করলেও তার একটা প্রভাব তাদের জীবনে ও সমাজে অটোম্যাটিক্যালি পড়ে যায় ” । তাই আমি অলওয়েজ মনে রাখি -”আমার লেখাটিতে যেনো এমনকিছু না থাকে যা পড়ে সমাজে যেনো কখনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় বরং পাঠকের যেনো মনে হয় - প্রশান্তির এক জগৎ থেকে ঘুরে এলাম অথবা বলা যায়, আমি শুধুমাত্র নিজের ভালো লাগা বা পেশন থেকে লিখি” ! আমার বেশীরভাগ লেখারই মূল উদ্দেশ্য হছ্ছে, ” বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার, অর্জন গুলো তুলে ধরার মাধ্যমে নতুন প্রজণ্মের জন্য একটি শুদ্ধ মনোজগত তৈরী করে দেয়া যা বলতে গেলে তারা প্রায় গত কয়েক দশক ধরে বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে ও অবাধ ইন্টারনেটের যুগে ভুলতে ও হারিয়ে ফেলতে শিখেছে” ৷ অনেকটা বাংলাদেশের সেই পুরানো দিনের শিক্ষা-ব্যবস্হা আর সেই পুরানো দিনের বিনোদন জগতের গল্প, উপন্যাস, মুভি, নাটক আর গানগুলোর মতো যেখানে কোনো বিজাতীয় সংস্কৃতি ও অবাধ ইন্টারনেটের প্রভাব নেই৷ যেনো মনে হয়, ওরাই বাংলাদেশ আর বাঙ্গালির প্রকৃত প্রতিছ্ছবি ৷একজন শিক্ষক ও লেখক হিসেবে এখন আমার পড়াশুনার স্টাইলটাও সম্পূর্ন ভিনন! যে কোনো ড্রেস যেমন আমরা আমাদের জন্য ক্রয় করিনা, পছন্দশীল ড্রেসটাই ক্রয় করতে পছন্দ করি ঠিক তেমনিভাবে পড়াশুনারও একটা রুচি তৈরী হয়ে গেছে ৷ বাংলা কিংবা ইংরেজী ভাষায় লেখা পৃথিবীর সবচাইতে দুর্বোধ্য বইটিও যেনো আজ অতি সহজে হৃদয়াঙ্গম করে ফেলছি ৷ যাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বইয়ের কথা না বললেই নয়, যেমন, An Autobiography (The Story of my experimental with truth ) by Mahamta Gandhi , The Audacity of Hope by Barak Obama, The God of Small Things by Arundhuti Roy, A Tale of Two Cities by Charles Dickens, The Art of the good life by Rolf Dobelli etc.
লেখক : ফারহানা আকতার, পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , লেখক ও গবেষক ৷