বঙ্গ-নিউজ: আওয়ামী লীগের হাতেই থাকলো খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। বরিশালেও বিজয়ী হয়েছেন প্রথমবারের মতো দলের মনোনয়ন পাওয়া আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত।
দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দলটি অবশ্য বিকেলেই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা ২১ জুন অনুষ্ঠেয় রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ৯৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আব্দুল আউয়ালকে হারিয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪টি ভোট।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নতুন প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত জিতেছেন ৫৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে। নৌকা প্রতীকে সেরনিয়াবাত পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭টি। এ হিসাবে ভোটের হার ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথের সবকটিতেই ইভিএমে ভোট হয়েছে বরিশালে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯। ২৮৯টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি বুথে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়েছে খুলনায়। ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে খুলনা সিটি নির্বাচনে।
ভোটগ্রহণ শুরুর পর দিনের প্রথমার্ধেই খুলনা ও বরিশালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। বরিশালে দলটির প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে। এরই জের ধরে দলটি বিকেলে খুলনা ও বরিশালে ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং রাজশাহী ও সিলেটে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।