বঙ্গ-নিউজ: বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফল্য অভাবনীয়। শিরোপাও পেয়েছে সংখ্য। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে হেছে আমাদের নারী ফুটবল দলের সুনাম। কিন্তু দলটির কোচ পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবলে সারাজীবন আলাদাভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে গোলাম রব্বানী ছোটনের নাম। তার হাত ধরে অভাবনীয় উন্নতি করেছে দেশের নারী ফুটবল। জিতেছে বেশ কয়েকটি শিরোপা। এবার সাফল্যময় দীর্ঘ অধ্যায় শেষে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের এই প্রধান কোচ।
২০০৯ সালের জুন থেকে মেয়েদের ফুটবলের কোচ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ছোটন। চলমান মাস পর্যন্ত সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা রানিদের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। এরপর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চিঠি দেবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাফুফেকে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খ্যাতনামা কোচ নিজেই।
ছোটনের দাবি, ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতেই মেয়েদের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। যদিও ফুটবলপাড়ায় জোর গুঞ্জন, সঠিক মূল্যায়ন না পাওয়া এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণেই দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছোটন।
ছোটনের অধীনে গত ১৪ বছরে আটটি শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী দল। এছাড়া রানার্সআপ হয়েছে আরও পাঁচবার। এতকিছুর পরও এক লাখ টাকা বেতন পান ছোটন। তাতেও আছে নানান গড়িমসি। বোনাস কিংবা উৎসব ভাতা দেওয়া হয় না ছোটনকে। বিপরীতে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর স্মলিকে ১৬ লাখ টাকা বেতন দেয় বাফুফে।
গণমাধ্যমকে ছোটন বলেন, ‘কাজের চাপ আর নিতে পারছি না। গত দুই বছর এক দিনের জন্যও ছুটি পাইনি। ভোর ৪টা থেকে হার্ড ট্রেনিং শুরু হয়। কোনো বিশ্রাম নেই। পরিবার, বন্ধুবান্ধব কাউকে সময় দিতে পারছি না। ব্যক্তিগত কোনো কিছু নেই বললেই চলে। আগামী ১ জুন থেকে বাফুফেতে আর কাজ করব না। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
‘আমি এই মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত কোচ হিসেবে থাকব। আমার মনে হয় এখন বিশ্রাম দরকার। অবশ্য ফুটবলের সঙ্গেই থাকব। কিছুদিন বিশ্রাম নেব। এরপর কোনো ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হব।’ যোগ করেন ছোটন।