প্রতীক্ষা
হাসান মিয়া
প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি অহরহ
মেসেজের উত্তর পাই না আমি,
কি যে বিরহ।
আজ তোমার সাথে যোগাযোগ,
করাই হলো দুরূহ।
শতগুণ বেড়ে গেল হৃদয়ে বিরহ।
কথাতে কথার ছলে হাসতাম দুজন।
মনে মনে ভাবি কত তুমি আপনজন।
একি হলো কি কাজ ভেবে পাইনা আজ।
কোথায় গেল দুষ্টু হাসি,
কোথায় গেল লাজ।
মেহেদী রঙ্গে রাঙ্গিয়ে হাত
দেখাতে কত সাজ।
কথাগুলো শুনে আমার বলতে হাস্যকর।
আজ তোমার সাথে কথা বলা হলো দুষ্কর।
ঝিঁঝি পোকার ডাক শুনছি আমি,
বড়ই করুন সুর।
তোমার আমার দূরত্বটা নয় তো বেশি দূর।
ভাবনাগুলো ঘুরে বেড়ায় রাত্রি,
যত গভীরে যায়।
সকলেই যেন ঘুমিয়ে গেল
সকল পাড়ায় পাড়ায়।
ভাবনাগুলো ঘুমোতে দেয় না
__কি যেন কি তাড়ায়।
যতসব ভাবনা চিন্তা মনের মধ্যে বাড়িয়ে,
মনে মনে খুঁজে বেড়াই কোথায় গেলা হারিয়ে।
দূরের ঐ ছায়া দেখে
হাতটা দিলাম বাড়িয়ে।
হঠাৎ করে ভেবেছিলাম
তুমি ছিলে বুঝি দাঁড়িয়ে।
জীবনটাকে সাজাতে চাই,
তোমার রঙে রাঙিয়ে।
কোথায় তুমি, মেসেজের দিলে না তো সাড়া।
আজকে তোমার হলো না,
আমার মেসেজ পড়া।
পড়লে তুমি বুঝতে পারতে
কত কি যে লেখা।
কত যে লিখছি আমি আবোল তাবোল বলা।
এইযে শুনোনা তুমি নিশিতে বাজে তবলা।
না কি নিশাচর বিহঙ্গ ডানা দিচ্ছে ঝাপটা।
কেউ কি জেগে আছে এই নিশি রাতে।
না আমি তো কথা বলছি,
নিজেই নিজের সাথে।
আজকে তোমার আমার,
আলাপচারিতা হলো তফাতে।
হয়তো বা আবার হবে,
কোন না কোন সুবাদে।