৮.৩ থেকে ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ!

Home Page » জাতীয় » ৮.৩ থেকে ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ!
বুধবার ● ১ মার্চ ২০২৩


অপরিকল্পিত ঢাকা নগরী

বঙ্গ-নিউজ: বাংলাদেশ ৮.৩ থেকে ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে, ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। ‘বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমন ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

রাউন্ড টেবিল বৈঠকে বক্তাগণ

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, দেশের শিক্ষক, গবেষক, নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যমকর্মী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পেশাজীবীসহ সবাইকে ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। গৃহ নির্মাণের সময় যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান অতিথি ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। গৃহ নির্মাণের সময় ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। প্রকৌশলীদের পরামর্শ মেনে নিয়ে গৃহ নির্মাণ করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা, মনন ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ সব ক্ষেত্রে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

গোলটেবিল বৈঠকের আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাইম মো. শহিদউল্লাহসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।

আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশের দ্রুত ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইসারি গ্রুপের সদস্যপদ প্রাপ্তি ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা সুপারিশ করেন, বিএনবিসি ২০২১ বিধিমালা মোতাবেক ভবন নির্মাণ সুনিশ্চিত করা এবং বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিল্ডিং কোড রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা জরুরি। এ জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পেশাদার প্রতিষ্ঠান হতে সনদপ্রাপ্ত প্রকৌশলী, স্থপতি, ভূতত্ত্ববিদ, নগর পরিকল্পনাকারীদের সম্মিলিত তত্ত্বাবধানে নতুন ভবনের নকশা ও স্থাপনা সুনিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে তারা আরও বলেন, বর্তমান ভবন কোডের যে সব তথ্য-উপাত্ত রয়েছে সেগুলো প্রায় ১৪ বছরের বেশি পুরাতন। তাই তথ্যসমূহ হালনাগাদের মাধ্যমে আরও সুরক্ষিত বিল্ডিং কোড তৈরির জন্য একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা দেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৪:৪১ ● ৩৮৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ