বঙ্গ-নিউজ: সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় হোমস প্রদেশে একটি শহরের কাছে ‘জঙ্গি গোষ্ঠী’ দায়েশের অতর্কিত হামলায় ৫৩ নাগরিক নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে প্রেসটিভি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার হোমস শহরের পূর্ব মরুভূমিতে আল-সোখনা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ট্রাফল বা মাশরুম কুড়ানোর সময় ‘জঙ্গি গোষ্ঠী’ দায়েশের আক্রমণে ৫৩ জন নাগরিক নিহত হয়।
গেল বছরের জানুয়ারিতে সিরিয়ার হাসাকা শহরের একটি কারাগারে হামলার পর এটি দেশটিতে দায়েশের সবচেয়ে বড় হামলা।
স্থানীয় পালমিরা ন্যাশনাল হসপিটালের পরিচালক ডা. ওয়ালিদ ওদেহ বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সাতজন সেনা সদস্য রয়েছে। অতর্কিত হামলার পরে মৃতদেহগুলো হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, হামলাকারিরা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে আসে। সেখানে যারা মাশরুম সংগ্রহ করছিলেন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর ২০১৪ সালে দেশটিতে ‘জঙ্গি গোষ্ঠী’ দায়েশ বর্বরতা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র দায়েশবিরোধী লড়াইয়ের নামে সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে বিমান হামলা চালালেও প্রকৃতপক্ষে সন্ত্রাসীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। পরে রাশিয়া, সিরিয়া এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা এক সঙ্গে দায়েশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে।
আরব দেশের অন্যান্য মিত্রদের সাহায্যে ২০১৭ সালে ইরানের সামরিক উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ ভূমিকায় এবং রাশিয়ার বিমান অভিযানে সহায়তায় দায়েশকে পরাজিত করা হয়। পরে এই দলটি পুনঃসংগঠিত করার অনেক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তবে তারা স্লিপার সেলের মাধ্যমে সিরিয়া জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।