বঙ্গ-নিউজ: কক্সবাজারে হোটেল কক্ষ থেকে মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ দুপুরে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল সি আলিফ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর স্বামী পরিচয়দাকারী ব্যক্তি পালিয়েছে।
নিহতরা হলো- চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নাথপুরা এলাকার শচীন্দ্র দে’র মেয়ে সুমা দে (৩৬) এবং তার আট মাসের কন্যাশিশু।
সুমার স্বামীর পরিচয়দানকারী জেমিন বিশ্বাস বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। হোটেলের রেজিস্ট্রারে এমনটা পাওয়া গেছে। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দুই সন্তানের নাম জানা যায়নি।
হোটেলের বরাত দিয়ে সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে হোটেলটির চতুর্থ তলার ৪১১ নম্বর কক্ষের মেঝে ও খাটের ওপর থেকে গৃহবধূ এবং তার কন্যাশিশুর মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ।
কক্ষটি দরজা বাইরে থেকে খোলা ছিল। গৃহবধূর গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার শরীর কালো হয়ে গেছে। তবে শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের শ্বাসরোধে নাকি বিষক্রিয়ায় হত্যা করা হয়েছে।
হত্যার পর স্বামী পরিচয়দানকারী জেমিন বিশ্বাস পালিয়ে গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সঙ্গে বাকি দুই শিশুকে নিয়ে গেছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
হোটেল সি আলিফের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তিন শিশুসহ সুমা দে ও জেমিন বিশ্বাস হোটেলের কক্ষ ভাড়া নেয়। শুক্রবার পর্যন্ত তাদের হোটেল অবস্থানের কথা ছিল। সুমা দে তার জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েছেন। তবে সেটি বিয়ের আগের। কারণ সেখানে তার স্বামীর নাম নেই। স্বামী পরিচয়দানকারীর কাছে এনআইডি ছিল না। তবে মোবাইল নম্বর দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় হোটেল কক্ষটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে জেমিন বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে কল করা হয়। কোনো সাড়া না পেয়ে পরে এক কর্মচারী কক্ষটিতে যান। এ সময় বাইরে থেকে দরজা খোলা দেখে ভিতরে মা ও সন্তানকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ছাড়াও ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।