মানুষ সময়ের সাথে সাথে বড় হয়। বড় হয় তার স্বপ্ন ..বড় হয় তার লক্ষ্য। শুধু দিন দিন ছোট হয়ে আসে মানুষের মন ..ছোট হয়ে আসে জীবন।
আমি সুমী নূর
এই এক জীবনে আমি কখনো হতে চেয়েছি শিক্ষক,কখনো লেখক,কখনো আলোকচিত্রী,কখনো কবি, কখনো প্রেমিকা।
শেষ পর্যন্ত হয়তো কিছুই হতে পারিনি অনুভূতির ধারক-বাহক ছাড়া। জন্ম বেড়ে ওঠা ঢাকায়।
স্কুল-অগ্রনী বালিকা বিদ্যালয়
কলেজ -ইউনিভার্সিটি ওমেনস ফেডারেশন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে
ঢাকা সিটি কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স করেছি ।
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি সব সময় আমাকে টানতো।ছোটবেলায় হুমায়ূন আহমেদ পড়ার সময় নিজেকে হিমু ভাবতাম .. রুপা নয়.. সবসময়ই একটু ব্যতিক্রম চিন্তা করতাম।তাই হয়তো পরিবারের সবারচে বিপরীতে যেয়ে আমার আজকের এই সাহিত্য যাত্রা ।
প্রিয় লেখক -হুমায়ূন আহমেদ,সাদাত হোসেন ।
প্রিয় কবি -জীবনানন্দ দাশ ,রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ,হেলাল হাফিজ।
প্রিয় রঙ-আকাশের নীল আর মনের মতন কখনো সাদা কখনো কালো।
প্রিয় স্থান-সমুদ্র
ডানাভাঙ্গা প্রজাপতি আর অসমাপ্ত কথনের পর তৃতীয় বই হিসেবে আমি আমার মনের কিছু অদৃশ্য অনুভূতিকে মলাটবদ্ধ করেছি এই বইটিতে।আমাদের সবারই কিছু মনের না বলা হাহাকার,আকুতি,আক্ষেপ,প্রেম-বিরহ অনুভূতি থাকে যাদের কে কখনো ছন্দে ফেলা যায়না,গল্পের শব্দে বাঁধা যায় না ।সেরকম কিছু নিশ্চুপ অনুভূতির ভাবনাগুলোকে সাজিয়েছি নিজস্ব মায়া দিয়ে “অনুভূতির অনুকাব্য”তে।
আমি লেখক হয়নি কবি হয়নি তবুও আমি যখন কলম হাতে নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করি তখন কোনো কিছু না হতে পারার সবকিছুই হয়ে যাই এক মুহূর্তে… আমার লেখা গল্প কবিতায়!
আমি স্বপ্নে বিশ্বাসী,স্বপ্ন দেখাতে বিশ্বাসী।
আমি একজন মেয়ে,একজন মা হবার সাথে সাথে একজন মানুষ হবার স্বপ্ন দেখি।আমি একজন আজন্ম জ্ঞানপিপাসু হিসেবে আহরণ করে যেতে চাই জগতের সকল অনুভূতির ভাষা।নিশ্চুপ অদৃশ্য অনুভূতিগুলো মায়ায় জড়িয়ে বলতে চেয়েছি বইটিতে।হয়তো আমার না থাকার সময় কেউ একজন অনুভূতিগুলো পড়ে বলবে ..তার মনের অব্যক্ত কথাগুলো কলমের কালো হরফে কোন এক রূপকার ভাষা দিয়েছেন,এই আশায় আর কখনো লিখবো না ভাববো না বলেও.. বারবার লিখে যায় আমার কলম…পাই আমি পাঠকের সীমাহীন ভালোবাসা।
এই ভালোবাসার টানে নিজের একটা পরিচয় রেখে যেতে চাই পাঠকের মাঝে।
ভালো লেখার সাথে পাঠকরা থাকবেন এই আশায়