বঙ্গ-নিউজ: পিতাই নিজেই হত্যা করেন পারুলকে। পরিবারকে না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন পারুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পারুলের বাবা আ. কুদ্দুছ খাঁ। পরে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন কুদ্দুছ। আর সেই মামলায় ফাঁসিয়ে দেন মেয়ে জামাই নাছির উদ্দিন বাবুকে। ঘটনার ৮ বছর পর তদন্তে বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার গরিয়া গ্রামের কৃষক কুদ্দুছ খাঁর মেয়ে পারুল। গেল শুক্রবার মেয়েকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন কুদ্দুছ। পুরো ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
জানা গেছে, কুদ্দুছের ইচ্ছা ছিল মেয়ের বিয়ে দেবেন নিজ হাতে। কিন্তু পারুল বাবার অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন প্রেমিক নাছির উদ্দিন বাবুকে। এতে বাবার মনে ক্ষোভের জন্ম নেয়। পরে মেয়েকে ফুসলিয়ে বাড়িতে এনে হত্যা করেন। এ ঘটনায় জামাইকে ফাঁসাতে করেন নানা ছঁক। মামলার পর মামলা, না-রাজি; কত কিছুই না করেছেন। কিন্তু আইনের ফাঁকে শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন কুদ্দুছ।
মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর নিজের সম্মানহানির ঘটনায় পারুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কুদ্দুছ খাঁ। সুযোগ বুঝে মেয়েকে বন্ধুর বাড়ি নিয়ে হত্যা করেন। টানা ৮ বছর ধরে মেয়ের জামাই নাছিরকে ফাঁসাতে মামলা চালিয়ে আসছিলেন।
পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিআইডি একাধিকবার মামলার তদন্ত করে। কোনো মামলায় নাছিরের সংশ্লিষ্টতা পায়নি তারা। কিন্তু আদালতে প্রতিবেদন দিলে না-রাজি দিতেন কুদ্দুছ।
পরে পিবিআই ঢাকা জেলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পূরক তদন্ত শুরু করে। এতেই বের হয় মূল রহস্য। ২০১৫ সালে বন্ধু মোকাদ্দেছ ওরফে মোকা মণ্ডলের সহযোগিতায় পারুলকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেন কুদ্দুছ।
এদিকে কুদ্দুছের বন্ধু মোকা মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।