বঙ্গ-নিউজ:এই প্রথম বাংলাদেশের ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন মেরিনা খাতুন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়। স্বাধীনতার এতো বছর পর দেশের প্রথম ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি ও আনন্দিত বলে জানান মেরিনা খাতুন।
এ বিষয়ে মেরিনা খাতুন বলেন, সবাইকে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীকে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে (জামুকা) ধন্যবাদ। স্বাধীনতার এতো বছর পর আমাকে দেশের প্রথম ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো, এতে আমি খুব খুশি ও আনন্দিত।
এ সময় তিনি বলেন, আমি চাই, মুক্তিযোদ্ধাদের মতো যুদ্ধশিশুদেরও আর্থিকভাবে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হোক।
মেরিনা খাতুনকে ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি জামুকার ৮২তম সভায় উত্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাড়াশের উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত ফাজিল আকন্দের বিধবা স্ত্রী পচি বেওয়াকে (বর্তমানে মৃত) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় রাজাকাররা। তাকে নিয়ে রাখা হয় পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে। সেখানে তার ওপর পাশবিক শারীরিক নির্যাতন চালায় পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা। পরে জন্ম হয় যুদ্ধশিশু মেরিনা খাতুনের।
মেরিনা খাতুনের মা পচি বেওয়াকেও ২০১৮ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।