হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে বেড়েছে বরাদ্ধ, বাড়েনি কাজের গতি

Home Page » সারাদেশ » হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে বেড়েছে বরাদ্ধ, বাড়েনি কাজের গতি
শনিবার ● ৭ জানুয়ারী ২০২৩


টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকায় অবস্থিত ফসল রক্ষা বাঁধ ‘গুরমা বর্ধিতাংশ হাওর উপ-প্রকল্প’ পূনঃনির্মাণের লক্ষ্যে পরিদর্শন করছেন মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান

সাজেদা আহমেদ; বিশেষ প্রতিনিধি, জলবায়ূ ও পরিবেশ,বঙ্গ-নিউজ।

চলতি বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের ৪৮টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প ও বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০ দিন পার হয়ে গেলেও নামেমাত্র কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এখনো শেষ হয়নি বেশির ভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের কাজ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়,
গত অর্থবছরে সুনামগঞ্জে ৪৮টি হাওরের ৫৩৬ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছিল। ৭২৭টি প্রকল্পে ১২৩ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছিল। এই বছর প্রকল্প এবং বরাদ্দ উভয়ই বেড়েছে।
এ বছরে জেলার ১২ উপজেলা থেকে ৯০৪টি প্রকল্প পাওয়া গেছে। কয়েকটি বাঁধের জরিপ বাকি রয়েছে। তাই আরও কিছু প্রকল্প হতে পারে। চলতি অর্থবছরে ৬২৫ কিলোমিটার বাঁধে কাজ করার লক্ষ্যে ১৭০ কোটি টাকার প্রাক্কলন করা হয়েছে। মাটির দর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ শনিবার পর্যন্ত সারা জেলায় অর্ধশত প্রকল্পে মাটির কাজ শুরু হয়েছে। হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ও অনেক বাঁধে মাটি কাটার মেশিন নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাঁধের কাজ শুরুতে বিলম্ব হচ্ছে।

এদিকে আজ শণিবার পর্যন্ত জেলার মধ্যনগর উপজেলার প্রস্থাবিত ৪৬ টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৫ টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে এবং৩ টির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্যনগর উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সানু মিয়া।
গত ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটি গঠন সম্পর্কে জানানো হয়, এবং গত ২১ ডিসেম্বর উক্ত কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা হলেও পিআইসি চুড়ান্ত করন নিয়ে সুষ্পষ্ট কোন আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত কমিটির এক সদস্য। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনা ছাড়া কোনো পিআইসি অনুমোদনের জন্য জেলায় প্রেরণ করা হবেনা বলে মনে হয়।
আর বিষয়টি এরকম হলে, বিগত বছরগুলোর মতো এবারো হাওরে বাঁধ নির্মাণে সৃষ্টি হতে চলেছে মধ্যস্বত্বভোগী বাঁধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বলে মন্তব্য করেছেন মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পরিতোষ সরকার।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা -২০১৭ অনুযায়ী হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে গঠিত পিআইসি। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। চলতি অর্থবছরে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতে ১০০ কোটি বরাদ্দ অনুমোদন হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:২৬:৪৪ ● ৭১৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ