হাওরের শোঁ শোঁ শব্দ কিংবা আফালের শোঁ শোঁ শব্দ যাই কানে ভাসুক না কেন হাওরের প্রকৃতি যেনো এক বিধাতার অমোঘ সৃষ্টি।এই হাওরের প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠা অনেক প্রতিভাবান সৈনিকেরা আফালের গতিতেই কাজ করে যায় হাওর ও হাওরের জনমানুষের কল্যাণে! হ্যাঁ ঠিক তাই,এমনই একজন হাওরের অকুতোভয় সৈনিকের নাম হাওরকবি জীবন কৃষ্ণ সরকার।তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন একটি পাঠাগার, একটি আলোক বর্তিকা,একটি জ্ঞানের বিশ্ববিদ্যালয়।তাই তো তিনি তার সর্বোচ্চটা দিয়েই হাওরের মানুষের নতুন প্রজন্মকে মাদকের ছোঁবল থেকে রক্ষা করতে, জ্ঞানের ফুল ফোটাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠা করেছেন “কেন্দ্রীয় হাওরসাহিত্য গণপাঠাগার ” নামে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার।পাঠাগারটি ইতোমধ্যে হাওর এলাকার জ্ঞান অন্বেষণের বাতিঘর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার একমাত্র রোজিস্টার্ড পাঠাগারটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে ২০১৭ সাল থেকে আজ অবধি।পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন হাওরের সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠন “হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা (হাসুস) বাংলাদেশ” যা হাওরের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে।করোনাকালীন সময়ে হাসুস অনলাইন স্একুলের মাধ্যমে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস করিয়ে গেছেন।এছাড়াও তিনি সম্পাদনা করেছেন মধ্যনগর উপজেলার একমাত্র পত্রিকা “মধ্যনগর দর্পণ”, হাওর বিষয়ক একমাত্র মুক্তকোষ “হাওরপিডিয়া”। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিনটি একক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন ,প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় আরো ডজন খানেক বই।অবহেলিত হাওরের সাহিত্যকে “হাওরসাহিত্য” নামকরণ করে হাওরের সাহিত্যকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়েগেছেন তিনি।বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে শতাধিক প্রবন্ধ হৃদয় কেঁড়েছে হাওরপ্রেমিক মানুষদের। হ্যাঁ,তিনিই জীবন কৃষ্ণ সরকার যাকে এক নামে হাওরের মানুষজনেরা হাওরকবি হিসেবেই জানে এবং চিনে।আজ এই প্রতিভাবান মানুষটির ৩৬ তম জন্মদিন।তাঁর জন্মদিনে জানাই হৃদয় নিংড়ানো অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।যেখানেই থাকুন,ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন সবসময়,আজকের এই দিনে এই আমাদের কামনা।