বঙ্গ-নিউজ: ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেলছেন গ্রাহকরা- বেশ কয়েকদিন ধরে এমন কথা ছড়িয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। তবে কয়েকটি শাখা পরিদর্শন করে জানা গেছে, টাকা তুলে ফেলা নয়,, অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর হচ্ছে বেশি।
রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় ৮টি ব্যাংকের ১০টি শাখায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকরা টাকা তোলার পাশাপাশি জমাও দিচ্ছেন।
জানা গেছে, গ্রাহকরা এখন নিরাপদ ব্যাংক খুঁজছেন। যে গ্রাহক যে ব্যাংককে নিরাপদ মনে করছেন, টাকা তুলে সেখানে নিয়ে রাখছেন। এতে এক ব্যাংক থেকে টাকা অন্য ব্যাংকে যাচ্ছে। ফলে ব্যাংকে নগদ টাকার তেমন সংকট হচ্ছে না।
বনানীর বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের শাখা গতকাল সকালে কোনো গ্রাহক দেখা যায়নি। এবি ব্যাংকের শাখায় দুজন গ্রাহককে টাকা তুলতে দেখা গেছে, টাকা জমা দিচ্ছিলেন একজন। এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বনানী শাখায় গিয়েও স্বাভাবিক চিত্রই দেখা গেল। এটি ছিল প্রতিটি ব্যাংকের মিনিট দশেকের চিত্র।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ভিড় দেখা গেছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখায়। তবে এটা স্বাভাবেক চিত্র বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রিয়াজুল করিম বলেছেন, আমাদের ব্যাংককে যে পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে, ঠিক সেই পরিমাণ জমাও হয়েছে। আমাদের ২৯ হাজার কোটি টাকা আমানত ছিল, এখনো তা-ই আছে।’
গুলশান-২ এর ইসলামী ব্যাংকের শাখায় দেখা গেছে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন শতাধিক গ্রাহক। তাদের বেশির ভাগ এসেছেন মাসিক সঞ্চয় স্কিমের টাকা জমা দিতে। অনেকে এসেছেন অন্য ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করতে। একই চিত্র দেখা গেছে ব্যাংকটির গুলশান-১ শাখায়।
সিটি ব্যাংকে ৮-১০ জন গ্রাহক অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের বেশির ভাগই এসেছেন ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে। কেউ এসেছেন নতুন হিসাব খুলতে। তবে একজন গ্রাহক টাকা তোলার জন্য এসেছেন।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আমানত বেড়েছে ১৯৫ কোটি টাকা। তাই এ মাসে আশা করছি আমানত ৮০০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। অন্য সময় প্রতি মাসে আমানত বাড়ত ৫২০ কোটি টাকা। এখন এক ব্যাংকের আমানত অন্য ব্যাংকে যাচ্ছে। এটা ভালো যে টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা গেলে সমস্যা নেই। যে ব্যাংকে টাকা কমে যাবে, প্রয়েজনে সেই অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে পারবে। কিন্তু টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে গেলে সমস্যা।
সূত্র : প্রথম আলো