বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ চলতি বছরের গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঠিকমতো হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নীতি পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হন কুর্দি তরুণী মাসা আমিনি (২২)। এর তিন দিন পর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় আমিনির। তার পরিবার ও বহু ইরানির অভিযোগ, পুলিশি প্রহারে মৃত্যু হয়েছে আমিনির। কিন্তু দেশটির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। এর জেরে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। টানা দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলে এই বিক্ষোভ। এতে অন্তত ৪০০ বিক্ষোভকারী দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর তাণ্ডবে নিহত হন এবং হাজার হাজার প্রতিবাদকারীকে আটক করা হয় বলে দাবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার।
তবে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকে দাঙ্গা হিসেবে উল্লেখ করেছে, সেইসঙ্গে এর পেছনে পশ্চিমা শত্রু জড়িত আছে বলে দাবি করে। এ ছাড়া বিক্ষোভে অংশ না নেওয়ার জন্য দেশটির নাগরিকদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন- এমন অভিযোগে প্রথম এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা ঘোষণা করেছে ইরান সরকার।
ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ছুরি নিয়ে এক নিরাপত্তারক্ষীকে হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়। দেশটির রেভ্যুলশনারি আদালত মোহসেন শেকারিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মোহসেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর তেহরানের একটি প্রধান রাস্তা ব্লক করেছেন এবং প্যারামিলিটারি বাসজি বাহিনীর এক সদস্যকে ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়ে আহত করেছেন। তিনি দাঙ্গাকারী হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন।