বঙ্গ-নিউজ: যশোরবাসীর কাছে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় সবার কাছে ভোট চান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যা চাইবেন, আমি তার চেয়ে বেশি দেবো। শামস-উল হুদা স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য যা যা দরকার, আমাদের সরকার তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই। একই সঙ্গে আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই, আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন। এ সময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে ধানমন্ত্রীর কথায় সায় দেন।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা তো রিজার্ভ অপচয় করিনি। মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছি। জ্বালানি তেল ও খাদ্যশস্য কিনেছি। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি, করোনার টিকা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছি। এসব কাজে রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছে। আমরা রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়েছে। আর কোনো সরকার রিজার্ভ বাড়াতে পারেনি। পর্যাপ্ত রিজার্ভ হাতে রেখেই সব কাজ করছি। রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই, সব ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছে।
যশোরে জনসভা করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই যশোরে আমার নাড়ির টান আছে। এখানের মাটিতে আমার নানা শেখ জহুরুল হক শুয়ে আছেন। তিনি যশোরে চাকরি করতেন। আমার মায়ের বয়স যখন তিন বছর, তখন তিনি মারা যান। ওই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই খারাপ ছিল যে এখানে আসা যায়নি। তাই নানাকে এখানে দাফন করা হয়। এখানে নানার স্মরণে আইটি পার্ক করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এক লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এ ছাড়া অভয়নগরে ৫০০ একর জমিতে ইপিজেড নির্মাণ ও মনিরামপুরে দারিদ্র্য বিমোচনে জহুরুল হকের নামে পল্লী একাডেমি নির্মাণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের জন্য কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার সময়ে দেশে ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত। আমরাই তা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র মানুষ ছিল ২৫ ভাগ। তা আমরা ১০ ভাগে নামিয়ে এনেছি।