বঙ্গনিউজ : আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয় তিন মাসের মাথায় এই দিনে। এই কলঙ্কজনক অধ্যায়ের শেষ হয়নি দীর্ঘ ৪৭ বছরেও।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর চকবাজার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে নিহত চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসাদুজ্জামান খান কামাল, মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ, বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ছোট ছেলে এহসানুজ্জামান স্বপন এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমপুত্র তানভীর শাকিল জয়সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
৪৭ বছর আগে কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটি শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে বাংলাদেশ।
সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, জাতীয় চার নেতার পরিবার, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, কারা মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান।
তার আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কারাগারের ভেতরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও পরিবারগুলোর সদস্যরা।
‘মায়ের কান্না ব্যানারে’ কারাগারে সামনে সকালে অবস্থা নেন ১৯৭৭ সালের ২ নভেম্বর সেনা ও বিমানবাহিনীর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত এবং ফাঁসি দেওয়া সদস্যদের পরিবারগুলো।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার পর দু মাস পরেই ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে কারাগারে হত্যা করা হয়।
ঢাকার সেই পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে, যেখানে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, সেখানে এখন গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর।