বঙ্গ-নিউজ: সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে উপর্যুপরি দুটি গাড়িবোমা হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক লোক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদ এ কথা জানিয়েছেন। খবর এপি।
মোগাদিসুর ব্যস্ততম এলাকা বিজু জংশনে স্থানীয় সময় শনিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। পাঁচ বছর আগে ঠিক একই জায়গায় ট্রাক বোমা হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-শাবাব দুটি হামলারই দায় স্বীকার করেছে। সোমালিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবারের হামলার লক্ষ্য ছিল বলে তারা জানিয়েছে।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়লে এটাই সোমালিয়ায় সবচেয়ে প্রাণঘাতি হামলার ঘটনা হয়ে উঠতে পারে। এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক অংশীদার, বিশেষত মুসলিম দেশগুলোর সহায়তা কামনা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ বলেন, আমরা সোমালিয়ার আন্তর্জাতিক অংশীদার ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা এখানে চিকিৎসক দল পাঠান। কারণ ভিকটিমদের সবাইকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
কয়েক দশকের সংঘাতের জেরে সোমালিয়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেস্তে পড়েছে। বিরাট সংখ্যক আহত মানুষের চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় হাসপাতালগুলো। বিভিন্ন হাসপাতালে ও চিকিৎসাকেন্দ্রে স্বজনের খোঁজে ভিড় করছেন উদ্বিগ্ন নাগরিকরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবদিরাজাক হাসান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সীমানা দেয়ালের বাইরে যেখানে হকার ও মানি চেঞ্জাররা বসেন, সেখানে প্রথম গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এতো বেশি প্রাণ হারিয়ে রাস্তায় পড়েছিল যে আমি সংখ্যাটি গুনে উঠতে পারিনি।
ঘটনাস্থলে এপির একজন সাংবাদিক জানান, বেশকিছু ব্যস্ত রেস্তোরাঁ রয়েছে এমন একটি জায়গায় দ্বিতীয় গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে করে সেখানে রাখা অনেকগুলো টুকটুক ও অন্যান্য গাড়ি ধ্বংস হয়।
সোমালি জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিস্ফোরণে একজন সাংবাদিক নিহত ও অপর দুইজন আহত হন। প্রথম বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যাবার সময়ে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। মোগাদিসুর আমীন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, প্রথম বিস্ফোরণের পরপর উদ্ধার কাজে ঘটনাস্থলে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স দ্বিতীয় বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়েছে।