বঙ্গ-নিউজ: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিদ গতকাল বৃহস্পতিবার এক সতর্কবার্তায় বলেছেন, রাশিয়া-ইরানের মধ্যকার সহযোগিতা শুধু ইসরায়েলের জন্য নয়, বরং তা ইউক্রেন, ইউরোপসহ সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করেছে। রুশ ভাষার আরটিভিআই চ্যানেলের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি আরও মন্তব্য করেন, ইরান একটি বিপজ্জনক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং রাশিয়া এর সাথে ব্যবসা করে পুরো বিশ্বকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। খবর মিডলইস্টমনিটর।
সাক্ষাৎকারে ইরানের তৈরি সামরিক ড্রোন ব্যবহার করায় ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর সমালোচনা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তবে একই সাথে এটিও পরিষ্কার করে দেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার প্রভাবের উপর নির্ভরশীল হয়ে তেল আবিব কিয়েভকে সরাসরি কোনো সামরিক সহায়তা দেবে না।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একটি জটিল বিষয়। ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উভয়ের যত্ন নেওয়া, আমাদের স্বার্থ যেন বিঘ্নিত না হয়, সেটা দেখা যেমন আমাদের দায়িত্ব, সেই সাথে আমরা যে ইউক্রেনকে সমর্থন করি, তা স্পষ্ট করে দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব।
গত সপ্তাহে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানান, কিয়েভ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের কাছে তাৎক্ষণিক বিমান প্রতিরক্ষা সরবরাহ ব্যবস্থা চেয়েছে। তবে সেটা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এর সত্যতা স্বীকার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেন, ইসরায়েল ইউক্রেনকে এমন সিস্টেম দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে যা বিমান হামলার হুমকি মোকাবিলায় একটি কার্যকর সতর্কতা ব্যবস্থার তৈরির সুযোগ করে দেবে।
কিয়েভ তেল আবিবের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ না করার সিদ্ধান্তে হতাশ -এ কথা জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ইসরায়েল ইতিহাসের ভুল পক্ষের সমর্থন করাকে বেছে নিয়েছে।
এর আগে রাশিয়া ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছিল, কিয়েভের বাহিনীকে সমর্থন করার জন্য ইসরায়েলের যেকোনো পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি করবে। এর দুইদিন পরই রাশিয়া ইউক্রেনকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের আবেদনে নেতিবাচক জবাব দেয়।