বঙ্গনিউজ ডেস্কঃ সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দী থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের সামরিক শাসিত একটি আদালত সু চিকে এই কারাদণ্ড দেয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সু চির পাশাপাশি এদিন তার সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক শন টার্নেলকেও তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অং সান সু চি ও তার সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শন টার্নেলের বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।
এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিয়ানমারে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে অভিযুক্ত উভয়কেই ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অবশ্য উভয় ব্যক্তিই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
কারাদণ্ডের বিষয় সম্পর্কে রয়টার্স জানিয়েছে, অং সান সু চি ও তার সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শন টার্নেল, দুইজনকেই তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজা ভোগের সময় কোনো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে না।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।
বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ হতে পারে। রাজধানী নেপিদোর রুদ্ধদ্বার আদালতে সু চির বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত রায় ঘোষণা হওয়া বিভিন্ন মামলায় অং সান সু চিকে ১৭ বছরেরও বেশি করাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সু চি অবশ্য বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মিথ্যা বলে দাবি করে এসেছেন।
শন টার্নেল অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক। সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েকদিন পর সু চির পাশাপাশি তিনিও আটক হন।
সূত্রঃ ইত্তেফাক