বৃহস্পতিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে
বৃহস্পতিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২


ফাইল ছবি- বাংলাদেশ ব্যাংক

বঙ্গ-নিউজ: দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রায় আড়াই বছরের মাথায় রিজার্ভ এখন সর্বনিম্ন। গতকাল দিনশেষে ৩৬. ৯৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় রিজার্ভ। মূলত চাহিদার তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ কম। তাই প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতেই এতটা কমে গেছে রিজার্ভ। আগের দিনও রিজার্ভ ছিল ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

সবশেষ গতকাল বুধবার দুটি ব্যাংকের কাছে ৬ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগের দিন বিক্রি করেছে ৭ কোটি ডলার। এ নিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৩১২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। অথচ আগের পুরো অর্থবছরে বিক্রি করেছে ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

এদিকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে উচ্চ আমদানি ব্যয় পরিশোধেও রিজার্ভে প্রভাব পড়েছে। সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১৭৩ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। এতে ৩৭ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে নামে রিজার্ভ। অথচ গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৬.১৯ বিলিয়ন ডলার।

চলতি অর্থবছরের শুরুর মাস জুলাইয়ে হয়েছে ৫৮৬ কোটি ডলার আমদানি ব্যয়। ওই মাসে আকুতে ১৯৬ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নামে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

জানা গেছে, বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে আমদানি দায় নিষ্পত্তি করা যাবে ৬ মাসের। যদিও আইএমএফের মানদণ্ড বিবেচনায় এটা ৫ মাসের আমদানি দায়ের সমান। সংস্থাটির মতে, বিভিন্ন তহবিলে জোগান দেওয়া অর্থ বাদ দিলে এখন রিজার্ভ আছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি ব্যয় ব্যাপক বাড়লেও রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স সে তুলনায় বাড়ছে না। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে গত কয়েকদিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কম। এ কারণেই চাপ পড়েছে রিজার্ভের ওপর।

অবশ্য রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমদানি ব্যয় কমাতে কড়াকড়ি আরোপ, কৃচ্ছ্রসাধন এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিন মাসের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকলেই হয়। আমাদের দেশে বর্তমান যে রিজার্ভ আছে, সেটি দিয়ে ৫ মাসেরও বেশি আমদানি বিল পরিশোধ সম্ভব। তাই রিজার্ভ নিয়ে হতাশার কিছু নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৪:২৪ ● ৬০৩ বার পঠিত