টিমটিমে আলো আঁধারে জানা অজানা পথে চলে
রাগে অনুরাগে ব্যাথা বেদনার অনলে পরে
তার হাতে জ্বলে নতুন মশাল নতুন বার্তা নিয়ে
মহাদেশ থেকে মহাদেশে পথহারাদের কথাবলে
চে দেখে নিগূূঢ় কালো আধাঁরে মানবের হাহাকার
নীরবে নিভৃতে চিৎকার সুশাসন জবাবদিহিতার
সৈরাচারী বাতিস্ততার বিভ্রান্ত-বিকৃতি বিবৃতি
ভিন্ন পথ ও মতের যাত্রীদের করে সলিল সমাধি
তাত্ত্বিক তত্ত্বে সময় উপযোগী করতো প্রসারিত
সিদ্ধান্ত নিত বাস্তব নিরীখে গ্রীবায় অর্পিত দায়িত্ব
অজস্র প্রতিকুলতার মাঝে সিদ্ধান্ত নিতে হত না কুন্ঠিত
শক্তি সাহস বিশ্ব মানবিকতর উজ্জল এক নক্ষত্র
যত্রতত্র কর্ণকুহরে বাজে শোষিত মানুষের আর্তনাদ
মরুর বুকে উড়ে ধূলি ঝড় পরে উষ্ণ বালুর বজ্রপাত
সে ঝড়ে ঝড়তো জীর্ণ শীর্ণর সময় অবর্ণনীয় অশ্রু জল
জলে জলে জোতদার মহাজনের পুজি করতো টলটল,
যুদ্ধযুদ্ধ খেলায় তেতিয়ে উঠে হাঠে মাঠে ঘাঠে
ঘাতক দানবেরা গোলা বারুদ বিক্রি ফাঁদ পাতে
আর রক্তে হলি খেলায় আম জনতা ভাগাড়ে মরে
ওরা দামামা বাজিয়ে বৈভরের সম্পত্তির প্রাসাদ গড়ে
জাতিয় মুক্তির স্বাধীনতা নয় কলোনি দখলের লড়াই
পোড় খাওয়া খুনে রাঙায় মুনাফার প্রাসাদ গড়াই
মননে বাজে পোর খাওয়া মানুষের সাবলীল বাঁশি
বেদনার বাঁশিতে চে শোনাত রন সংগীতের বানী
অন্তর বিদীর্ণ করে পোর খাওয়া মানুষের কষ্ট
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে নিবারণ করতো দুঃখ
তাইতো অকুতোভয় পাখি ছুটে যায় ছুটে যায়
আর্জেন্টিনা থেকে কিউবা,কঙ্গো থেকে বলিভিয়া
বলিভিয়া আমন্ত্রকারী সাথীদের নির্লজ্জ নীরবতা
গাঁ ছাড়া ছাড়া ভাব অসততা আর অসড়তা
পারস্পপারিক বোঝাপড়া অজানা’সোহেলী’ ভাষা
পথ ঘাট জলবায়ু কৃষ্টি কালচার অচেনা অজানা
শুভ্র আকাশে মেঘের মিছিল হয়ে গেল নিকষ কালো
অন্ধকার অমানিশায় নিভুনিভু করে প্রদীপের আলো
কালো রাত্রে একরাশ দুঃখ বেদনার দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে
হতাশায় জর্জরিত নাখা ভূখা কৃষকের আশে পাশে
দূ্র্গম পথে পেটে নেই-দানা পানি জন্মগত হাপানি
লোভ লালসা রাগ অভিমান দিয়েছে- দেয়-জলাঞ্জলি
চরাবালু চড় কীট শারদুল ভরপুর হাটে মাঠে ঘাটে বাটে
তবুও লড়কু নিরন্তর ছোটে কত শত প্রতিকূলতার মাঝে
বাধ সাধে-কতিপয় প্রবঞ্চক প্রহশনের খাতায় নাম লেখায়
ঘাতকেরা বলে দেয় তত্ত্ব উপাত্ত - রোজার্স মারিও ভাগার্স
বিশ্বাস ঘাতকতায়-গ্রান্ড নদীর তামাম জল খুনে খুনে লাল হয়ে যায়
খন্ড খন্ড করে দেয় বর্ণীল স্বপ্ন স্বাদ শোষিত মানুষের উপাসনালয়
খুনে রাঙায় মুনাফা খোররা চেটে চেটে করে একাকার
ওরা রাষ্ট্রীয়সন্ত্র দানব না পশু, মানুষ না জানোয়ার
আচমকা আলোটা নিভে গেল ‘শেকোরের’পল্লীর স্কুলের
সভ্যতার বর্ণমালা লেখা হয় বলিভিয়াই লাল অক্ষরে
সে আলোকিত জলে একাকার হয় বিশ্ব মানবিকতায়
আলোয় উদ্ভাসিত হয় বস্তির ডেরায় প্রাসাদের চূড়ায়
গ্রান্ড নদীর জল জানান দেয় প্রতিরোধ প্রতিবাদে মুক্তি
বলে বৃক্ষ-নদী-রাত্রি মুক্তিকামী অকুতোভয় যুদ্ধের সেনানী
চেয়েচেয়ে থাকে চের আগুন ঝরা দুইটি আঁখি
আখিতে জানান দেয় মুক্তি কামি মানুষের সেনানী
দারিদ্র আর দাসত্বে বেড়ী পড়া মানুষ আজ বন্দী
আপোষহীন পোড় খাওয়া মানুষ দেখবেই প্রগতী।