বঙ্গ-নিউজ: আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল। শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে । সেজন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬ বগি করে ১০টি ট্রেন। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলাচল করবে এসব ট্রেন।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। রাজধানীতে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ডিএমটিসিএল।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের এমডি এম এ এন সিদ্দিক মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি ও পরিচালনার নানা দিক তুলে ধরে বলেন, আগামী বছর মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হবে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। এ লাইনে পরীক্ষামূলক চলাচলের ‘পারফরম্যান্স টেস্ট’ প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট। এ পর্যায়ে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক ও সংকেত ব্যবস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। অক্টোবর থেকে সিমুলেটরের মাধ্যমে ট্রেন চালিয়ে দেখা হবে। সেই ধাপে যাত্রীবিহীন ট্রেন চলাচল করবে। তবে যাত্রী নিয়ে যে গতিতে চলার কথা, সেভাবেই ১৫ দিন চলবে যাত্রীবিহীন ট্রেন। এরপর ডিসেম্বরে যাত্রীসহ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে মেট্রো ট্রেন।
তিনি জানান, শুরুতে ১০ মিনিট পরপর ট্রেন ছাড়া হবে। তবে যাত্রীরা কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে উঠলে এবং যাত্রী বেড়ে গেলে বিরতি কমিয়ে আনা হবে। তখন প্রতি সাড়ে তিন মিনিট পরপর একটি করে ট্রেন ছেড়ে যাবে।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ভাড়া নির্ধারণে কাজ করছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কমিটি। শিগগিরই ভাড়া চূড়ান্ত হবে। সরকার ভাড়া ঠিক করে দিলে সফটওয়্যারে ভাড়ার হার বসিয়ে র্যাপিড পাস বা কার্ড বিক্রি শুরু হবে। মেট্রোরেল পরিচালনায় আলাদা পুলিশ বাহিনী গঠনের প্রক্রিয়াও শেষপর্যায়ে বলে জানান তিনি।
মেট্রোরেল প্রকল্প ২০১২ সালে হাতে নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথম দিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। মেট্রোরেলের পথ সম্প্রসারণ, স্টেশন প্লাজা নির্মাণ, নতুন জমি অধিগ্রহণ, পরামর্শক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে ডিএমটিসিএল। অনুমোদন পেলে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। সর্বশেষ ব্যয় প্রস্তাব অনুযায়ী, জাইকা ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা দেবে। ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা খরচ করবে সরকার।