বঙ্গনিউজঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্ন-কক্ষ হাউস অফ রেপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ওই এলাকায় দুর্ঘটনাজনিত সামরিক সংঘর্ষের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। এই স্ব-শাসিত দ্বীপে মঙ্গলবার রাতে মিসেস পেলোসির বিতর্কিত সফরের ঠিক আগে তাইওয়ান থেকে চীনা মূল ভূখণ্ডকে বিভক্তকারী সীমারেখায় চীন যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে।
চীনা বাহিনী ঐ এলাকায় তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করে সামরিক মহড়াও চালিয়েছে। চীনা সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেছে, তারা “যে কোনো ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
সীমান্তে চীনা সামরিক তৎপরতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রয়েছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে পেলোসির সফরের বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন করবি চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেছিলেন,সামরিক উস্কানি দিয়ে চীন এই সফরের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে তাইওয়ানের কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা এবং বড় আকারের বিমান বা নৌ মহড়া শুরু করা, কিংবা তাইওয়ান প্রণালীতে নৌ অবরোধের ন্যায্যতা দেয়ার জন্য “ভুয়া আইনি দাবি” করা।
ন্যান্সির এই সফর, হোয়াইট হাউস যাতে সরাসরি কোন সমর্থন দেয়নি, গত কয়েক দশকের মধ্যে কোন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তার প্রথম তাইওয়ান সফর হতে যাচ্ছে।
কংগ্রেসের স্পিকার মার্কিন সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পরই পেলোসির অবস্থান। তিনি বেইজিং সরকারের দীর্ঘদিনের এক সমালোচক।
চীন বারবার করে এই সফরের বিরুদ্ধে সতর্ক করে আসছে এবং মঙ্গলবার বলেছে, এই সফরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে “মূল্য দিতে হবে।”
তাইওয়ান একটি স্বশাসিত দ্বীপ, তবে চীন একে নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে। সফর-সূচিতে তাইওয়ানের উল্লেখ না করে মার্কিন স্পিকার রবিবার তার এশিয়া সফর শুরু করেন।
এখন পর্যন্ত তিনি সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া সফর করেছেন এবং এরপর দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে যাবেন বলে কথা রয়েছে।
তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার তাইপে অবতরণের পরিকল্পনা রয়েছে এবং বুধবার তিনি তাইওয়ানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে তাইওয়ানি এবং মার্কিন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের একত্রীকরণকে তার রাজনৈতিক এজেন্ডার মূল অংশে পরিণত করেছেন এবং গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সতর্ক করেছেন যে, আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার জন্য তাইওয়ানের কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করে “আগুন নিয়ে খেলা” করবেন না। সূত্রঃ বিবিসি