বঙ্গ-নিউজ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন এবং মারধরের ঘটনায় একের পর এক মানববন্ধন, বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং আন্দোলনে এখনও উত্তাল পুরো ক্যাম্পাস। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখে যৌন হয়রানির তদন্তও কিছুটা বেগবান হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘটনার পঞ্চম দিনে এসে হেনস্তাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করার দাবি জানিয়েছে হাটহাজারী থানা-পুলিশ।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, চবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় আমরা ইতিমধ্যে দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। আমাদের তদন্ত এখনও চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে নাম পরিচয় এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে আমরা দুই জনকে শনাক্ত করেছি। পুলিশের সহায়তায় তাদের ধরার জন্য আমরা বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার ক্যাম্পাসসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের চার কার্যদিবসের সময় দিয়েছে। আমরা আশা করছি এর মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করতে পারব।
এর আগে, গত রবিবার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় সংগীত বিভাগের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাতনামা ৫ তরুণের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই ছাত্রীকে গাছে বেঁধে তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা হয় এবং তার সঙ্গে থাকা বন্ধুটিকে ও তাকে মারধর করে মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্রী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভিকটিম। এরপরে বুধবার বিকেলে হাটহাজারী থানায় অজ্ঞাত পাঁচ যুবককে আসামি করে মামলা করেন ভিকটিম ছাত্রী।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হলে ঢোকার নির্দেশনা প্রদান করলে ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা বুধবার (২০ জুলাই) মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে চার কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার না করতে পারলে পুরো প্রক্টরিয়াল বডিসহ পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এস মনিরুল হাসান।