স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজ:সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শালীয়ানি গ্রামের সজিব (১৮) নামের এক কিশোর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জীব তালুকদার টিটু কে ফাঁসাতে নিজেই বিষপান করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার (৬ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে মধ্যনগর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
অনুসন্ধানে জানা যায় ,ঘটনার দিন দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার মধ্যনগর বাজারের ঠাকুরাকোনা ট্রলারঘাটে সেনাবাহিনী ত্রাণ বিতরণ করে।সেখানে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জীব তালুকদার টিটু উপস্থিত হয়ে ত্রাণ বিতরণ করছিলেন।তখন চেয়ারম্যান টিটুর কাছে ত্রাণ চাইতে আসে শালীয়ানি গ্রামের সজিব নামে এক কিশোর । পরে টিটু সজীব কে বলে শালীয়ানি গ্রামের ত্রাণের টুকেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী উসমানের কাছে দেওয়া হয়েছে। এখন আর কাউকে টুকেন দেওয়ার মতো নাই।সজীব কে টুকেন না দেওয়ায় সে রাগান্বিত হয়ে চেয়ারম্যান টিটু ও ইউপি সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ত্রাণ বিতরন শেষে চেয়ারম্যান টিটু সেখান থেকে চলে এসে পরিষদ বসেছিল। তখন সজীব কে খবর দিয়ে এনে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত ত্রাণ দিতে চাইলে সে ত্রাণ নেবে না বলে জানায় ও চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের আবারও গালিগালাজ শুরু করে। পরে টিটু সজীব কে আটকে রেখে পুলিশ কে খবর দিতে চাইলে এই মূহুর্তে এসে হাজির হন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী উসমান। তখন আলী উসমান চেয়ারম্যান টিটুকে অনুরোধ করেন যাতে সজীব কে পুলিশে সোর্পদ না করা হয়।পরে ইউপি সদস্য আলী উসমান সজীবের বাবা মঞ্জুল হক কে ইউনিয়ন পরিষদে খবর দিয়ে এনে সজীবের বিষয়ে নালিশ জানান ।তখন সজীবের বাবা মঞ্জুল হক চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের গালিগালাজ করার কারনে সজীব কে উপস্থিত থাকা লোকজনের সামনে ছর তাপ্পর দিয়ে শাসন করে।কিন্তু চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের কোনো লোকজন সজীব কে মারধর করেনি।
প্রত্যক্ষ দর্শীদের মধ্যে রাজকুমার তালুকদার বলেন,ত্রাণ দেওয়ার সময় উপস্থিত লোকজনের সামনে চেয়ারম্যান সজীবকে ত্রাণ না দেওয়ায় চেয়ারম্যান ও তার লোকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।পরে চেয়ারম্যান এই ছেলেটিকে ত্রান দিবে বলে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে যায়।
সদর ইউনিয়নের কর্তব্যরত গ্রামপুলিশ অরবিন্দু সরকার বলেন,চেয়ারম্যান সাহেব ছেলেটিকে খবর দিয়ে এনে ত্রাণ দিতে চাইলে সে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের গালিগালাজ শুরু করে। পরে চেয়ারম্যান সাহেব ওই ছেলেটিকে পুলিশে সোর্পদ করতে চাইলে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী উসমান অনুরোধ করেন এবং তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে ছেলেটির বাবাকে খবর দিয়ে আনেন।পরে ছেলেটির বাবা এসে ছেলেটিকে শাসন করে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী উসমান বলেন,চেয়ারম্যান ছেলেটিকে পুলিশে দিতে চাইলে আমি বাঁধা দেই।যেহুতু ছেলেটি আমার গ্রামের। পরে ছেলেটির বাবাকে খবর দিলে তার বাবা এসে ছেলেটিকে শাসন করে নিয়ে। তার বাবা তাকে শাসন করার কারনে সে রাগান্বিত হয়ে চেয়ারম্যান কে ফাঁসাতে নিজেই বিষপান করে।
সজীবের বাবা মঞ্জুল হক জানান,আমি যাওয়ার আগে আমার ছেলেকে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা মারধর করে। পরে আমি আমার ছেলে শাসন করে নিয়ে চলে আসি।
সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জীব তালুকদার টিটু বলেন, আমি বা আমার লোকজন সজীব কে মারধর করেনি। আমাকে ফাঁসাতে একটি চক্র এই ঘটনাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে।