বঙ্গ-নিউজ: মশার বিরোদ্ধে এবার অভিযান চালাবে ড্রোন। রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনে মশার উৎস খুঁজতে ড্রোন ব্যবহার করা হবে। আগামী শনিবার থেকে টানা দশ দিন ড্রোনের মাধ্যমে চিরুনি অভিযান চলবে। আজ বৃহস্পতিবার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এমন তথ্যই দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করে ছাদ বা বেলকনিতে মশার উৎস খুঁজে বের করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে প্রতিটি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা আছে কিনা সেটি খুঁজে বের করা হবে। কোনো বাড়িতে পাওয়া গেলে ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আগামী ২ থেকে ১১ জুলাই ঢাকা উত্তরের আওতাধীন প্রতিটি বাসাবাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস খুঁজতে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব। ড্রোন থেকে তোলা ছবি এবং তথ্য উপাত্ত নিয়ে যেসব বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হবে, যা আগামী বছরও মশক নিধন কার্যক্রমে কাজে লাগবে।
এদিকে, এ বছরে চালানো ‘প্রাক–বর্ষা মশা জরিপের ওপর ভিত্তি করে জনস্বাস্থ্যবিদরা ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আভাস দিয়েছিলেন। সেটির সত্যতাও মিলেছে দেশে গত কয়েকদিনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণরও বেড়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা দুটি রোগের জন্যই মানুষকে সতর্ক থাকার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৭ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৬ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আর বাকি একজন ঢাকার বাইরে।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সারাদেশে ৩৫২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। চলতি বছরের জুন মাসের ২৮ দিনেই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬৪ জনে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। সামনের দিনগুলোয় থেমে থেমে বৃষ্টি হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের।